eaibanglai
Homeএই বাংলায়কল্যাণেশ্বরী মায়ের অলৌকিক লীলা কাহিনী

কল্যাণেশ্বরী মায়ের অলৌকিক লীলা কাহিনী

সংবাদদাতা,আসানসোলঃ– বাংলা ঝাড়খন্ড সীমান্ত এলাকায় আসানসোলের কল্যানেশ্বরী মন্দির প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো । বাংলার প্রচীন দেবীপীঠ গুলির মধ্যে অন্যতম এই পীঠ। কথিত আছে মা কল্যাণেশ্বরী ভক্তদের সকল দুঃখ-বেদনা দূর করেন। বাংলা ও ঝাড়খণ্ড দুই রাজ্যের ভক্তরাই তাঁদের মনস্কামনা নিয়ে মায়ের দর্শনে পৌঁছন বাংলার হ্যাংলা পাহাড়ে প্রায় ৫০০ বছরের প্রাচীন কল্যাণেশ্বরী মাতার মন্দিরে।

মা এখানে নিত্য পূজিতা হলেও কার্তিক অমাবস্যায় কালীপুজোর দিন হয় বিশেষ পূজা অর্চনা। দূরদূরান্ত থেকে ভক্তরা আসেন পুজো দিতে। এই মন্দিরকে নিয়ে ঐতিহাসিক এবং অলৌকিক নানা গল্পগাঁথা রয়েছে। কথিত আছে, বহু প্রচীন এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন রাজা বল্লাল সেন।

মন্দিরের প্রাচীন তথ্য থেকে জানা যায়, খ্রিস্টীয় দ্বাদশ শতাব্দীতে কাপালিক দেবদাস চট্টোপাধ্যায় মা কালীর সাধনা করার জন্য এখানে আসেন। সেই সময় ওই এলাকায় ছিল ঘন জঙ্গলে ঘেরা। শোনা যায়, রাজা বল্লাল সেন ছিলেন এই কাপালিকের ভক্ত। কাপালিকের নির্দেশ মেনেই তিনি অধুনা শ্রবনপুরে একটি মন্দির নির্মাণ করেন। সেখানেই বহু বছর আরাধনা হয় দেবী শ্যামারূপার। শ্রবণপুরে জনবসতি গড়ে উঠলে দেবী নাকি কোলাহলে রুষ্ট হয়ে কল্যাণেশ্বরীতে একটি একফুট গভীর গর্তে আশ্রয় নেন। সেই থেকেই এখানে পূজিতা হচ্ছেন তিনি। কল্যাণেশ্বরী দেবীর নামেই পরবর্তীতে মাইথন নামটি প্রচলিত হয়। মাইথন, অর্থাত্‍ মাই কা থান, সেখান থেকেই ছোট হয়ে মাইথন নামে প্রচলিত হয়।

আবার অন্যএকটি কথন অনুযায়ী বর্তমান যেখানে মা কল্যানেশ্বরী মন্দির রয়েছে তার পাশে রয়েছে চালানা দহ। সেখানে এক শাঁখারির কাছে যুবতী রূপে মা শাখা পরেন। কিন্তু শাঁখারিকে ওই যুবতী টাকা নিতে বলেন কল্যানেশ্বরী মন্দিরের সেবাইত দেবনাথ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। শাঁখারি যুবতীকে শাঁখা পরিয়ে চলে যান শ্রবনপুরে গ্রামে। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেবনাথ বাবুর মুখে শোনেন তিনি নিঃসন্তান। এর পর দেবনাথ চট্টোপাধ্যায় ওই শাঁখারিকে নিয়ে মা যেখানে শাঁখা পরেছিলেন সেখানে গিয়ে দেখেন যুবতী আর নেয়। রয়েছে পাথরের উপর পায়ের ছাপ।এবং তারপর নতুন মন্দির এখানেই তৈরি হয়। মা কল্যানেশ্বরী প্রাচীন মন্দিরেও প্রতিদিন মায়ের নিত্যপুজো হয় এবং কালীপুজোর দিন বিশেষ পুজো অর্চনার আয়োজন করা হয়।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments