সঙ্গীতা চৌধুরীঃ- কার্তিক পুজো দেখতে গেলে অবশ্যই বাঁশবেড়িয়ায় যেতে হবে, কারণ এখানকার কার্তিক পুজো অত্যন্ত জনপ্রিয়,দুর্গা পুজোর মতো থিম হিসেবে এখানে কার্তিক পুজো হয়। হুগলির বাঁশবেড়িয়া ও সাহগঞ্জে গেলে নজরে পড়বে জামাই কার্তিক থেকে জ্যাংড়া কার্তিক, খোকা কার্তিক থেকে অর্জুন কার্তিক। এই অঞ্চলে কার্তিক পুজো বলতে কিন্তু আবার শুধুই কার্তিকের পুজো নয়, কার্তিক পুজোকে কেন্দ্র করে এখানে ভগবান নারায়ন, রাধা কৃষ্ণ, শিব, নৃসিংহদেব সকলেরই পুজো হয়।
বাঁশবেড়িয়ার মহাকালীতলার আগন্তুক ক্লাবে যেমন এই বছর নিউজ পেপার কেটে প্যান্ডেল করা হয়েছে আর ভেতরটাকে হাতে আঁকা জিনিস থেকে শুরু করে মাটির ছোট ছোট অনেক মূর্তি দিয়ে ডেকোরেট করা হয়েছে, কার্তিক সেখানে রাজা কার্তিক। একদম দেব সেনাপতির আদলে প্রস্তুত করা, মূর্তি দেখে মনে হচ্ছে যেন জীবন্ত। বাঁশবেড়িয়া স্টেশনের পাশে হয় একটি পুজো যেখানে দেখা যায়,নটরাজ কার্তিক, অর্থাৎ নটরাজের নীচেই রয়েছেন কার্তিক। কিশোর বাহিনীর পুজোতেও রয়েছেন নটরাজ কার্তিক আর সূর্য তরুণ সঙ্ঘের পুজোয় রাজা কার্তিক করা হয়েছে, অনির্বাণ ক্লাবে হয়েছে জামাই কার্তিক।
বাঁশবেড়িয়ার রামকৃষ্ণ সংঘে এবার হয়েছে মহারাষ্ট্রের শিবাজী প্যালেস, এখানে আবার কার্তিক পুজো উপলক্ষে রয়েছেন ভগবান নারায়ণ, দেবাদিদেব মহাদেব ও ভগবান বিষ্ণুর নরসিংহ অবতার সবাই উপস্থিত রয়েছেন। বাঁশবেড়িয়ার নবভারতী সংঘেও নটরাজের পুজো হচ্ছে। আর বাঁশবেড়িয়ার ফুলবাগান সংঘে কার্তিক পুজোয় পূজিত হচ্ছেন রাধা কৃষ্ণ। বাঁশবেড়িয়ার নেতাজি সঙ্ঘেও দেখা যায় লক্ষীনারায়ণের পুজো। আর এইভাবেই বাঁশবেড়িয়ার কার্তিক পুজো হয়েছে জমজমাট- কারণ পুজো কার্তিকের হলেও বাঁশবেড়িয়ার এই পুজোয় সব ঠাকুরেরই আরাধনা করা হয়।