সঙ্গীতা চৌধুরী:- গ্রামাঞ্চলের মধ্যেই রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে চর্চা করে মশাটের রবীন্দ্র প্রচার সংস্থা ‘রবির আলো’। রবিবার ছিলো এই অনুষ্ঠানের ষষ্ঠ বার্ষিকী প্রতিষ্ঠা উৎসব, সেই উপলক্ষে এইদিন রবীন্দ্র প্রতিকৃতিতে মাল্য দান, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও অতিথি বরণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ হয়। রবীন্দ্র সংগীত, রবীন্দ্র কবিতা,বাঁশির অনুষ্ঠান এবং রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে বিশেষ আলোচনা সভার পাশাপাশি ভারতীয় বিভিন্ন ডাক টিকিট নিয়ে একটি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়, সমগ্র অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন জগৎজ্যোতি মন্ডল, সভাপতিত্ব করেন শ্রী প্রতাপাদিত্য চক্রবর্তী মহাশয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রী অরূপ মুখার্জী, স্নেহেন্দু চক্রবর্তী ও প্রতাপ চক্রবর্তী, অনিরুদ্ধ চ্যাটার্জী সহ অনেকে।
রবীন্দ্রনাথের অনুষ্ঠান আর সেখানে বাঁশি থাকবে না তা তো হতেই পারে না! সুরের মূর্ছনায় যিনি নতুন প্রাণ সৃষ্টি করেছিলেন তার অনুষ্ঠানে কবিতা,সংগীত,গীতি আলেখ্য যেমন একটা বিশেষ ভূমিকা পালন করে,তেমনি আছে বাঁশির কদর। তাই এই বাঁশি পরিবেশন করতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিলো পন্ডিত হরি প্রসাদ চৌরাশিয়াজির সুযোগ্য শিষ্য দেবজ্যোতি অধিকারী মহাশয়কে। তার বাঁশির সুর মূর্ছনায় মুগ্ধ হয়ে যান উপস্থিত শ্রোতা মন্ডলী। বাঁশি শেষে সকলেই তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গ্রামগঞ্জের মধ্যে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে এইরকম একটি অনুষ্ঠানের উদ্যোগ সম্পর্কে সংস্থার সম্পাদক অতনু পাল এবং সভাপতি অভিজিৎ রায় জানান,“ রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে চর্চা গ্রামাঞ্চলে খুব একটা হয় না, সেই কাজটি আমরা করে চলেছি। আমাদের লক্ষ্য রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন অজানা বিষয় মানুষের সামনে তুলে ধরা এবং রবীন্দ্র চর্চাকে গ্রামের গ্রামাঞ্চলের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া,সেই লক্ষ্যেই আমরা এই বছর ষষ্ঠতম বর্ষে পদার্পণ করলাম।” অনুষ্ঠানটি শেষ হয় অর্পিতা নাগ,স্নিগ্ধা রায় ও অভিজিৎ রায়ের আমিও তুমি গীতি আলেখ্যের মধ্য দিয়ে।