eaibanglai
Homeএই বাংলায়অবৈধ সম্পর্কের জন্যই কি খুন গোপালপুরের যুবকের?

অবৈধ সম্পর্কের জন্যই কি খুন গোপালপুরের যুবকের?

মনোজ সিংহ, দুর্গাপুরঃ- লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই গোটা দেশ জুড়ে চলছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারী। এরই মধ্যে গত রাত্রে দুর্গাপুর লাগোয়া গোপালপুর গ্রামে খুন হলেন পবিত্র বিশ্বাস নামে ২৬ বছর বয়সী এক যুবক। যদিও সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে রাজনীতির সাথে কোন যোগ নেই এই খুনের পেছনে।

স্থানীয় সূত্র মারফত জানা গেছে, এলাকায় ‘সুদখোর’ বলে পরিচিত শম্ভু দাসের বাড়ি থেকে গত রাত্রে প্রায় দেড়টা নাগাদ ফোন আসে পবিত্র বিশ্বাস নামে ২৬ বছর বয়সী ওই গ্রামেরই একটি ছেলের কাছে। তৎক্ষণাৎ কাল বিলম্ব না করে বছর ২৬ এর ওই যুবক পবিত্র বিশ্বাস বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় বলে জানিয়েছে তার পরিবারের সদস্যরা। এরপরেই নাকি সায়ন মন্ডল নামে পবিত্র বিশ্বাসের এক ভাগ্নের কাছে ফোন করেন পবিত্র তাকে মেরে ফেলা হবে, এখনই তাড়াতাড়ি বাঁচাতে আয় বলে আকুতি জানাই ফোনের মাধ্যমে। ফোন পাওয়ার সাথে সাথেই নাকি তার ভাগ্নে সায়ন মন্ডল ও কয়েকজন যুবক শম্ভু দাসের বাড়ির আশেপাশে খোঁজাখুঁজি করে দেখেন। কিন্তু তেমন কিছু না দেখতে পেয়ে তারা ফিরে আসেন বাড়িতে। তার কিছুক্ষণ পরেই নাকি পবিত্রর বাড়িতে শম্ভু দাসের বাড়ি থেকে ফোন আসে, যে তাদের ছেলে নাকি মাতাল অবস্থায় রাস্তায় পড়ে রয়েছে। তৎক্ষণাৎ বাড়ির লোকজনেরা শম্ভু দাসের বাড়ির সামনে গিয়ে দেখেন গোটা শরীরে আঘাতের চিহ্ন নিয়ে যুবক পবিত্র বিশ্বাস পড়ে রয়েছে রাস্তায়। পরিবার -পরিজনের যৌথ উদ্যোগে আহত পবিত্র বিশ্বাসকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরেই ক্ষোবে ফেটে পড়ে, মৃতের পরিবার-পরিজনেরা আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয় বাড়ির সামনে রাখা শম্ভু দাসের একটি বিলাসবহুল গাড়ি। ভাঙচুর চালানো হয় শম্ভু দাসের বাড়িতেও বলে অভিযোগ।

ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। খবর দেওয়া হয় দমকলে। দমকলের একটি ইঞ্জিন প্রায় এক ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। কিন্তু পবিত্র বিশ্বাসের পরিবার ও গ্রামবাসীদের মধ্যে এখনো ধোঁয়াশা রয়েছে ঠিক কি কারনে খুন হতে হলো ওই যুবককে।

অন্যদিকে একটি বিশ্বস্ত সূত্র মারফত জানা গেছে এলাকায় সুদখোর হিসেবে পরিচিত শম্ভু দাসের নাকি বিবাহিত স্ত্রীর দুই সন্তান। দুই সন্তানের মধ্যে বড় সন্তানের কিছুদিন আগেই বিবাহ হয়েছে। শম্ভু দাসের স্ত্রী বা রক্ষিতা বলে পরিচয় দেয় নাকি আরও দুই মহিলা বলে অভিযোগ। সুত্র মারফত জানা গেছে গোপালপুর এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের একটি গোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য ছিল পবিত্র বিশ্বাস। শম্ভু দাসের স্ত্রী বা রক্ষিতা বলে পরিচয় দেওয়া এক মহিলার সাথে অবৈধ সম্পর্ক ছিল মৃত পবিত্র বিশ্বাসের বলে অভিযোগ। সেই সম্পর্কের জেরেই নাকি খুন হতে হল ওই যুবককে।

একটি অসমর্থিত সূত্র মারফত জানা গেছে, গ্রাম ও এলাকার সবার জানা ছিল পবিত্র বিশ্বাসের এই অবৈধ সম্পর্কের কথা । ওই মৃত যুবক পবিত্র বিশ্বাস নিয়মিত টাকা পয়সা নিতেন নাকি ওই মহিলার কাছ থেকে। পবিত্র বিশ্বাসের চলাফেরা ও জীবনযাপন ছিল অত্যন্ত উচ্চমানের বলে অভিযোগ। স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে তাহলে কি সুদখোর শম্ভু দাসের পয়সাতেই পবিত্র বিশ্বাসের চলতো ওই বিলাসিতা ? আত্ম সম্মান ও পারিবারিক সম্মান রক্ষার খাতিরেই কি শম্ভু দাস ও তার দুই ছেলে মিলে পবিত্র বিশ্বাসকে খুন করেছে গত রাত্রে ? প্রশ্ন অনেক, উত্তরের খোঁজে পুলিশ।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments