জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী, আসানসোলঃ- যেকোনো নির্বাচনের সময় দেখা যায় – উন্নয়নের তালিকা হাতে নিয়ে প্রচারের পরিবর্তে যুযুধমান রাজনৈতিক দলগুলো মধ্যে চলছে পারস্পরিক আক্রমণ, কুৎসিত শব্দ ও ভাষার প্রয়োগে ঘটে চলেছে শব্দ দূষণ। কখনো কখনো সেটা ভাষার সীমা অতিক্রম করে শারীরিক নির্যাতনের পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে। ঝরছে রক্ত, খালি হচ্ছে মায়ের কোল, মুছে যাচ্ছে মাথার সিঁদুর। নিরাপত্তার ঘেরাটোপের মধ্যে থাকা একদল উপরতলার নেতাদের সৌজন্যে এলাকার শান্ত পরিবেশ কলূষিত হয়ে ওঠে।
ঠিক এই পরিস্থিতিতে সম্পূর্ণ বিপরীত দৃশ্যের সাক্ষী থাকার সুযোগ পেলেন পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার জেমুয়া গ্রামের বাসিন্দারা। প্রচারে বেরিয়ে বিজেপি নেতার বাড়িতে পাত পেরে মধ্যাহ্নভোজন করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। পাশাপাশি মমতা ব্যানার্জ্জীর নামাঙ্কিত শাড়ি উপহার দিলেন গৃহকর্ত্রীকে।
দলীয় প্রার্থীর হয়ে পাণ্ডবেশ্বরের জেমুয়া গ্রামে প্রচারে এসেছিলেন নরেন বাবু। তাকে দেখতে পেয়ে বর্তমান বিজেপি কর্মী তথা প্রাক্তন তৃণমূল কর্মী ধর্মদাস গোপ তার বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজনের জন্য নরেন বাবুকে আমন্ত্রণ জানান। নরেন বাবু সেই আমন্ত্রণে সাড়া দেন। তিনি ধর্মদাস বাবুর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন করেন। শেষে ধর্মদাস বাবুর স্ত্রীর হাতে একটি শাড়ি তুলে দেন। ধর্মদাস বাবু বলেন – “দয়া করে এরমধ্যে কোনো রাজনীতি খুঁজবেন না। দলমত নির্বিশেষে তিনি আমাদের সবার বিধায়ক। মতের অমিল থাকলেও তার কাজে আমরা আপ্লুত।” অন্যদিকে বিধায়ক বলেন – “এটাই বাঙালির রীতি। বর্তমানে ধর্মদাস বিজেপি কর্মী হলেও তিনি বড় মনের পরিচয় দিয়েছেন এবং এটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এটাই পাণ্ডবেশ্বর।