সংবাদদাতা, সালানপুর ও আসানসোলঃ- আসানসোলের অদূরে কল্যানেশ্বরী মন্দিরে শুক্রবার এক দশম শ্রেণীর ছাত্রী নাবালিকার বিয়ে হওয়ার তোড়জোড় হয়েছিল। এই খবর পেয়েই তড়িঘড়ি মন্দিরে গিয়ে সেই বিয়ে আটকালো সালানপুর ব্লক প্রশাসন। সালানপুর থানার পুলিশের সাহায্যে ব্লক চাইল্ড হেল্প লাইন কমিটির প্রতিনিধিরা মন্দিরে পৌঁছে ঐ বিয়ে বন্ধ করার ব্যবস্থা করা হয় বলে এদিন সালানপুরের বিডিও দেবাঞ্জন বিশ্বাস জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ঐ নাবালিকার সাথে পুরুলিয়ার এক তরুণের সামাজিক মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে পরিচয় হয়েছিল বলে জানা যায়।
পশ্চিম বর্ধমান জেলা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির চেয়ারম্যান পরমেশ্বর খান বলেন, ঐ নাবালিকা কল্যানেশ্বরী মন্দির সংলগ্ন দেন্দুয়া এলাকার বাসিন্দা। সে সালানপুর ব্লকের একটি স্কুলে দশম শ্রেণীতে পড়ে। শুক্রবার পুরুলিয়ার এক তরুণের সাথে তার বিয়ের ঠিক হয়েছিল। সেই অনুযায়ী বিয়ের সাজে ঐ নাবালিকা ও বর সহ অন্যরা উপস্থিত হয়েছিলেন। এই খবর পেয়ে কল্যানেশ্বরী ফাঁড়ির পুলিশ এবং সালামপুরের বিডিও অফিসে একাধিক আধিকারিক ও চাইল্ড হেল্প লাইন কমিটির সদস্যরা সেখানে পৌঁছন। তারপর তাদের বুঝিয়ে এই বিয়ে বন্ধ করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী আমাদের দপ্তরে ঐ নাবালিকা ও তার মা-বাবাও এসেছিলেন। মেয়েটি পড়োশোনা করতে রাজি হয়েছে। তাকে বলা হয়েছে, পড়াশোনার জন্য যদি কোনও অসুবিধে হয় তাহলে তা আমাদেরকে অবশ্যই জানাতে। মেয়েটির মা ও বাবা লিখিতভাবে স্বীকারোক্তি দিয়ে জানিয়েছেন যে, নাবালিক অবস্থায় তারা মেয়ের বিয়ে দেবেন না। এক সপ্তাহ পরেই তাদের আবার এই দপ্তরে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এদিন বিকেলে ঐ নাবালিকাকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তার প্রাথমিক পরীক্ষা করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে আসানসোলের মহকুমাশাসক (সদর) বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, সালানপুর ব্লকের বিডিও গোটা বিষয়টি আমায় জানিয়েছিলেন। তারপর আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।