নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– এই বর্ষার মরশুমে প্রথম সেচর জন্য জল ছাড়তে শুরু করল দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন। শনিবার সকাল থেকে দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে ডান এবং বাম সেচ খালে জল ছাড়া শুরু হয়েছে। দুটি সেচ খাল মিলিয়ে ৬ হাজার কিউসেক করে জল ছাড়া হবে। টানা ১৫ দিন চলবে এই জল ছাড়া। এই ১৫ দিনে ১ লক্ষ ৩০ হাজার একরফিট জল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেচ দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় মজুমদার। পরবর্তীতে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত চাষের জন্য জল ছাড়া চলবে ।
প্রসঙ্গত এবার পুরো আষাঢ় জুড়ে জ্বলেছে দক্ষিণবঙ্গ। শ্রাবণের শুরুতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শুরু হলেও এবছর এখনও পর্যন্ত ৪০% বৃষ্টির ঘাটতি দাঁড়িয়েছে বলে সেচ দফতর সূত্রে জানা গেছে। ফলে ঘোর বর্ষার মরশুমে আমন ধান চাষ নিয়ে দুশ্চিন্তায় চাষীরা। সেচের অভাবে বিঘার পর বিঘা জমি খাঁ খাঁ করছে। একদিকে বৃষ্টি নেই অন্যদিকে সেচের অভাবে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি আমন ধানের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত পূর্ব বর্ধমান আর পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসায় সেভাবে চাষ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে গত মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক দপ্তরে বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, হাওড়া ও হুগলির জেলা আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক হয় এবং সেখানে আমন ধানের চাষ বাঁচাতে সেচের জন্য জল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই মতো গত বৃহস্পতিবারই পাঞ্চেত এবং মাইথন জলাধার থেকে ছাড়া শুরু করে ডিভিসি এবং শনিবার দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে সেচ খালে জল ছাড়া শুরু হয়। এই জল পেয়ে আপাতত স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন ধান চাষীরা। সেচের জল পেয়ে চাষ করতে সুবিধা হবে দক্ষিণবঙ্গের পাঁচ জেলার কৃষকদের। তবে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়লে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সেচ দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় মজুমদার।