সন্তোষ কুমার মণ্ডল,দুর্গাপুরঃ– বৃহস্পতিবার সকালে অন্ডাল থানার মদনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাবুইশোল খনি আবাসন থেকে উদ্ধার হল স্বামী ও স্ত্রীর মৃতদেহ। স্ত্রীর দেহ উদ্ধার করা হয় আবাসনের খাটের উপর থেকে। আবাসনের বারান্দায় গলায় দড়ি দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় স্বামীর দেহ। দম্পতির মৃত্যুর কারণ নিয়ে রহস্য দানা বাঁধলেও প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন স্বামী।
মৃতরা হলেন ধনঞ্জয় চন্দ (৫০ ) ও বাসন্তী চন্দ (৪৫)। ধনঞ্জয় চন্দ ইসিএলের বাঁশড়া কোলিয়ারিতে কর্মরত ছিলেন। অন্ডালের বক্তারনগরে বাড়ি হলেও ধনঞ্জয়বাবু স্ত্রীকে নিয়ে খনি আবাসনেই থাকতেন। ২০ বছরের বেশি দাম্পত্য় জীবন হলেও, কোনো সন্তান ছিলোনা দম্পতির। মৃত বাসন্তী দেবীর বাপের বাড়ি অন্ডাল থানার বক্তারনগরের নবঘনপুর এলাকাতে। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে এদিন ঘটনাস্থলে পৌঁছন বাপের বাড়ির লোকজন। মৃত বাসন্তী দেবীর দাদা দয়ারাম দালাল এদিন লিখিত অভিযোগ করেন অন্ডাল থানায়। তাতে তিনি তার বোনকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। অন্যদিকে প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের এক আধিকারিক জানান,দম্পতি নিঃসন্তান ছিলেন। যা নিয়ে তাদের মধ্যে নিত্যদিন অশান্তি হতো। সম্ভবত সেই কারণেই বুধবার রাতে ধনঞ্জয় চন্দ দড়ি জাতীয় কোনকিছু দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে স্ত্রীকে খুন করেন। পরে তিনি বারান্দায় গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় এদিন সকালে আবাসন এলাকার এক বাসিন্দা রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ওই আবাসনের খোলা জানালা দিয়ে মৃতদেহ দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে তিনি আশপাশের লোকেদের বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে সেখানে ভিড় জমান প্রতিবেশীরা। পরে অন্ডাল থানার পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ও ঘটনার তদন্ত শুরু করে।