এই বাংলায় ওয়েব ডেস্কঃ- রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক এসবিআইয়ের ভুয়ো শাখা খুলে প্রতারণার ঘটনা সম্প্রতি সংবাদ শিরোনামে উঠে এল। ছত্তীসগঢ়ের শক্তি জেলার ছাপোরা গ্রামে সম্প্রতি এই ঘটনাটি ঘটে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ভুয়ো শাখা খুলে একদিকে বেকার কিছু যুবক যুবতীকে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করা হচ্ছিল তেমনি গ্রামবাসীদের ভুয়ো ব্যাঙ্ক আমানত করিয়ে ঠকানো হচ্ছিল।
রায়পুর শহর থেকে প্রায় আড়াইশো কিলোমিটার দূরে ছাপোরা গ্রামে বাড়ি ভাড়া নিয়ে সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে শুরু হয় এসবিআইয়ের একটি শাখা। ম্যানেজার সহ ছয় জন কর্মী নিয়ে কাজ শুরু করে ব্যাঙ্কের শাখাটি। গ্রামের মানুষজন ব্যাঙ্কে যাতায়াত শুরু করেন অ্যাকাউন্ট খোলা ও ঋণের জন্য়। দিন দশেক এভাবেই সব ঠিক ঠাক চলতে থাকে। অন্যদিকে স্থানীয় গ্রামবাসী অজয় কুমার আগরওয়াল ছাপোরায় একটি এসবিআই কিয়স্কের জন্য আবেদন করেছিলেন। কোনো রকম নোটিশ ছাড়া গ্রামে রাতারাতি এসবিআইয়ের শাখা খুলে যাওয়ায় তাঁর মনে সন্দেহ জাগে। তিনি নিকটতম ডাবরায় বৈধ এসবিআই শাখার ম্যানেজারকে বিষয়টি জানান। খোঁজ খবর নিয়ে তিনি জানতে পারেন ব্যাঙ্কের ওই শাখার কোনো কোড নেই। এরপরই স্থানীয় থানায় বিষয়টি জানান তিনি। বিষয়টি জানতে পেরে ব্যাঙ্কের শাখায় খোঁজ খবর নিতে গিয়ে ছোখ কপালে ওঠে পুলিশের। ঝাঁ চকচকে ব্যাঙ্কের শাখা। বৈধ ব্যাঙ্কের মতোই সমস্ত কাউন্টার। কিন্তু সেখানে কর্মরত কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে ওই কর্মীদেরও প্রতারিত করা হয়েছে। তাদের কাছে থেকে ২থেকে ৬ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছে ওই চাকরির জন্য। এবং রাতীমতো নিয়োগপত্র ও ট্রেনিংও দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর পুলিশ দেখে, ওই শাখার কর্মীদের কাছে যে নিয়োগপত্রগুলি দেওয়া হয়েছিল, সেগুলি সব ভুয়ো। এরপর ব্যাঙ্ক সিল করে পুরি বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ছত্তীসগড় পুলিশের এক সিনিয়র আধিকারিক রাজেশ পটেল জানান, একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের থেকেই তাঁরা প্রথম জানতে পারেন ভুয়ো ব্যাঙ্কের বিষয়ে। এর পর তাঁরা তদন্ত করে নিশ্চিত হন, সত্যিই ওই ব্যাঙ্কটি ভুয়ো। জাল নথি ও ভুয়ো নিয়োগপত্র দিয়ে বেশ কয়েকজন কর্মীও নিয়োগ করা হয়েছিল। ঘটনায় ইতিমধ্যে চার জন সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ।