সংবাদদাতা,দুর্গাপুর- আসানসোলঃ– বৃহস্পতিবার রাতে ওড়িশার স্থলভাগে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় দানা। শুক্রবার সকালে তার ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। উপকূলে ঝড়ের দাপট থাকলেও দক্ষিণবঙ্গে সে ভাবে প্রভাব ফেলতে পারেনি দানা। তবে শুক্রবার সকাল থেকে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় শুরু হয়েছে বর্ষণ। দুপুরের পর থেকে তার পরিমাণ বাড়বে বলেই পূর্বাভাস। কোথায় কোথায়ও ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।
এদিকে দুর্গাপুর আসানসোলে দানার জেরে যে কোনোরকম পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসনের পাশাপাশি তাঁরাও অর্থাৎ হলুদ ব্রিগেড প্রস্তুত বলে জানালেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। একদিকে দানার মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী যখন প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে রাত কাটাচ্ছেন নবান্নে, তখন দলীয় কর্মদের সঙ্গে নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতভর জেলা তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে রাত কাটান তৃণমূলের জেলা সাভাপিত। তিনি জানান, জেলায় যে কোনো বিপর্যয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানের জন্য প্রশাসনের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে প্রস্তুত রয়েছে তাদের হলুদ ব্রিগেড। পাশাপাশি এই বিপর্যয়ের সময় তিনি ধর্ম, বর্ণ, রাজনীতি ভুলে সকলকে মানুষকে এক অপরের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
অন্যদিকে হাতে গোনা আর কয়েকটা দিন বাদেই কালী পুজো । এখনো প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হয়নি। এদিকে দানার জেরে শুক্রবার সকাল থেকেই নাগাড়ে বৃষ্টি শুরু হয়েছে আসানসোল দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে। ফলে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে মৃৎশিল্পীদের। বৃষ্টি বন্ধ না হলে, রোদ না উঠলে কীভাবে প্রতিমা শুকাবে ভেবে পাচ্ছেন না তাঁরা। আপাতত প্লাস্টিকের চাদর ঢাকা দিয়ে কোনোমতে মূর্তিগুলি বৃষ্টির হাতে থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন মৃৎশিল্পীরা।
তবে আশার বাণী শোনা গেছে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে শনিবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমবে দক্ষিণবঙ্গে। শনিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে অতি বৃষ্টির কোনো সতর্কতা জারি করা হয়নি। এদিন শুধু বৃষ্টি হতে পারে ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে।