নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– কর্মীদের উপযুক্ত বোনাস, ইনক্রিমেন্ট, গ্রাজুইটি, বকেয়া এরিয়ার প্রদান সহ একগুচ্ছ দাবিতে পাঁচটি কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠন একযোগে দেশজুড়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ইস্পাত কারখানা গুলিতে সোমবার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। এদিন যার প্রভাব লক্ষ্য করা গেল সেইলের অধীনস্থ দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা, মিশ্র ইস্পাত কারখানা, ইস্কো, বার্নপুরেও।
শ্রমিক সংগঠনগুলির অভিযোগ, নবরত্ন সংস্থা কেন্দ্রীয় ইস্পাত মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানাকে বিলগ্নীকরণ করার চক্রান্ত করছে কেন্দ্রীয় সরকার। পাশাপাশি একাধিক বিষয়ে শ্রমিকদের সাথে আলোচনা ছাড়াই একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। কারখানায় একাধিক ফাঁকা পদ থাকা সত্ত্বেও কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে না। তাদের দাবি বকেয়া ৩৯ মাসের এরিয়ার, গ্রাচুইটি দিতে হবে। সম্মানজনক পুজোর বোনাস দিতে হবে। ঠিকা শ্রমিকদের বেতন চুক্তি করতে হবে। ফাঁকা পদে কর্মী নিয়োগ করতে হবে।
এদিনের ধর্মঘট নিয়ে সিটু অনুমোদিত হিন্দুস্তান স্টিল এমপ্লয়েজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সীমান্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “একাধিকবার আমরা কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করতে চেয়েছি। আমাদের দাবি জানাতে চেয়েছি। কিন্তু আমাদের সাথে কোন রকম আলোচনা ছাড়াই একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। আমরা তাই সব শ্রমিক সংগঠনগুলি একসঙ্গে বাধ্য হয়ে ধর্মঘটের পথ বেছে নিয়েছি।” অন্যদিকে এআইটিইউসির সাংগঠনিক সম্পাদক শম্ভুচারণ প্রামাণিক বলেন, “২০২২ সালে দুর্গাপুজোর বোনাস পেয়েছিলাম ৪০ হাজার ৫০০ টাকা। ২০২৩ সালে কোনরকম আলোচনা ছাড়াই ২৩ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। আর ২০২৪ সালে একতরফাভাবে ২৬ হাজার ৫০০ টাকা দেওয়া হয়েছে। ৩৯ মাসের এরিয়া, ইনক্রিমেন্ট বকেয়া। শ্রমিক সংগঠনগুলির সাথে সৌজন্যমূলক আলোচনা করে না কর্তৃপক্ষ। তাই আমরা ধর্মঘটের পথ বেছে নিয়েছি।”
এদিন সকাল থেকেই দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার গেটের সামনে ধর্মঘটের সমর্থনে বিক্ষোভে নামে সিটু, আইএনটিইউসি, এইচএমএস, এআইটিইউসি ও বিএমএস। অন্যদিকে বিশৃঙ্খলা এড়াতে সকাল থেকেই কারখানা চত্বরে মোতায়েন রয়েছে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। নজরদারি চালাচ্ছে সিআইএসফ বাহিনীও।