eaibanglai
Homeএই বাংলায়দুর্গাপুরের কাঁকসায় ডায়রিয়ার প্রকোপ, মৃত ১ অসুস্থ ৫

দুর্গাপুরের কাঁকসায় ডায়রিয়ার প্রকোপ, মৃত ১ অসুস্থ ৫

নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– দুর্গাপুর মহকুমার কাঁকসা ব্লকের মলানদিঘী গ্রাম পঞ্চায়েতের কুলডিহা এলাকায় ডায়রিয়ার প্রকোপে মৃত্যু হয়েছে ১ মহিলার। মৃতার নাম উর্মিলা মুর্মু (৩৫)। গুরুতর অসুস্থ আরও ৫ জন। তাদের দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজেনর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে বিধাননগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এলাকায়। পরিশ্রুত পানীয় জলের অভাবেই এই ঘটনা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়দের একাংশ। এলাকার বেশ কয়েকটি টিউবওয়েল সিল করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

জানা গেছে শনিবার থেকে এলাকার বেশ কেয়কজনের মধ্যে বমি সহ ডায়রিয়ার নানা উপসর্গ দেখা দেয়। তাদের মধ্যে উর্মিলা মুর্মুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সেখানে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় রবিবার তাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তার। এরই মধ্যে সোমবার দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আরো চার জনকে।

কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য এই বিষয়ে বলেন, “স্বাস্থ্য দপ্তরের সাথে কথা বলে গোটা এলাকায় নজরদারি চালানো হচ্ছে। এলাকায় মেডিক্যাল টিম গিয়েছে। পানীয় জল, ওষুধ এবং অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

যদিও স্থানীয়দের দাবি পঞ্চায়েতে তরফে ট্যাঙ্কারে করে সোমবার একবার জল পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেই জলের গুণমানও খারাপ। এদিকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত জল সরবরাহের কোন ব্যবস্থা করা হয়নি। ফলে বাধ্য হয়েই তারা এলাকার টিউবওয়েলেরই জল খেতে বাধ্য হচ্ছেন।

অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধী পক্ষ। বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই এদিন দাবি করেন পরিশ্রুত পানীয় জলের অভাবেই এই ধরণের ঘটনা ঘটছে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের মাধ্যমে বাড়িতে বাড়িতে পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা থাকলেও তাতে বাধা দিচ্ছে শাসক দল। সেই প্রকল্পের নাম বদলেও বাড়িতে বাড়িতে জল পৌঁছে দিতে পারছে না তারা। ঘটনায় শাসক দলকে তীব্র ধিক্কার জানান তিনি। যদিও কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য দাবি করেছেন, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পাইপ লাইনের মাধ্যমে এলাকার বাড়িতে বাড়িতে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে যাবে। ইতিমধ্যেই তার কাজ শুরু হয়েছে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments