সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ– অন্ডাল থানার নতুন ওসি’র দায়িত্বভার দেওয়া হল রানিগঞ্জে ডাকাত দলের সঙ্গে লড়াই করা শ্রীপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মেঘনাদ মণ্ডলকে। প্রসঙ্গত দিন দুই আগে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের একাধিক থানার ওসি ও ফাঁড়ির ইনচার্জদের বদলির বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। তাতে অন্ডাল থানার ওসির দায়িত্বভার দেওয়া হয় বারাবনি থানার ওসি মনোরঞ্জন মণ্ডলকে। কিন্তু সেই দায়িত্বভার গ্রহণের আগেই কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতে মনোরঞ্জন মণ্ডলকে সাসপেন্ড করা হয়। শুক্রবার আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরীর সাক্ষরিত জারি করা নতুন নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয় অন্ডাল থানার ওসির দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে জামুড়িয়া থানার শ্রীপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মেঘনাদ মণ্ডলকে। নতুন এই নির্দেশিকায় এও বলা হয়েছে, বারাবনি থানার ওসি মনোরঞ্জন মণ্ডলকে অন্ডাল থানার ওসি করার যে অর্ডার গত ১৯ নভেম্বর বেরিয়েছিলো, তা আপাততঃ বাতিল করা হচ্ছে। মনোরঞ্জন মণ্ডলকে আসানসোল পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গতঃ, গত ৯ জুন দিনে দুপুরে রানিগঞ্জ শহরে একটি বড় সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতির ওই ঘটনা ঘটার সময় সোনার দোকানের উল্টোদিকে একটি হার্ডওয়ারের দোকানে সাধারণ পোশাকে উপস্থিত ছিলেন শ্রীপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মেঘনাদ মণ্ডল। তবে তার সঙ্গে ছিল সার্ভিস রিভলবারটি। ডাকাতির বিষটি জানতে পেরেই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে তিনি সোনার দোকানের সামনের একটি গাছের আড়াল থেকে দুষ্কৃতীদের উদ্দেশ্য করে গুলি করতে থাকেন। পাল্টা গুলি চালায় ডাকাত দলের সদস্যরাও। এই গুলির লড়াইয়ের মধ্য়েই ডাকাত দলের এক সদস্যের পায়ে গুলি লাগে ও সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ঘটনায় হকচকিয়ে যায় ডাকাত দল। প্রায় দু কোটি টাকার গয়না লুঠ করলেও কিছু গয়না ফেলে রেখে জখম সদস্যকে বাইকে তুলে নিয়ে চম্পট দেয় ডাকাতদলটি। পরে অবশ্য ওই জখম দুষ্কৃতীর সূত্র ধরে ডাকাত দলের প্রায় সকলেই ধরা পড়ে।
অন্যদিকে ওই ঘটনার পর মেঘনাদ মণ্ডলের লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়ে রাজ্য পুলিশের সোশাল মিডিয়া পেজে গোটা বিষয়টি তুলে ধরা হয়। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা সেই ঘটনার পুরস্কার হিসেবেই শ্রীপুর ফাঁড়ির ইনচার্জকে পদোন্নতি দিয়ে অন্ডাল থানার ওসি’র দায়িত্ব দেওয়া হল।