eaibanglai
Homeএই বাংলায়ডিএভি মডেল স্কুলে আয়োজিত হল বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

ডিএভি মডেল স্কুলে আয়োজিত হল বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- বৃহস্পতিবার ২৩ জানুয়ারি দুর্গাপুরের ডিএভি মডেল স্কুলে আয়োজিত হল বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। অনুষ্ঠানের শুরুতেই বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষা তথা পশ্চিমবঙ্গ ডি এ ভি সংস্থার আঞ্চলিক নির্দেশিকা পাপিয়া মুখার্জি উপস্থিত অতিথিবর্গের হাতে চারা গাছ তুলে দিয়ে সকলকে স্বাগত জানান। এদিনের এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন দুর্গাপুর সিআরপিএফ (সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স) এর ডিআইজিপি, জিসি নাদিম আহমেদ সমদানি। তিনি পতাকা উত্তোলন করে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার শুভ সূচনা ঘোষণা করেন ।

প্রতিযোগীরা শপথ গ্রহণ করে ও প্রজ্জ্বলিত মশাল নিয়ে মাঠ পরিক্রমা করে। এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় শিশু শিক্ষার্থীদের জন্য পিকি পালোজা, পাথ ওয়ে টু গ্লোরি, ফিল দ্য বাস্কেট, ওয়ার্ড রেস প্রভৃতি এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য হপ রেস, ইট এন্ড রান, ব্যালান্সিং দ্যা কোন, র‍্যাবিট‌ রেস প্রভৃতি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এছাড়া পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য স্যাক রেস, ১০০ মিটার, ২০০ মিটার রানের আয়োজন করা হয়। অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অশিক্ষক কর্মচারীদের জন্যও প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। এছাড়া ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার আগে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমবেত কুচকাওয়াজ, ড্রিল, ব্যায়াম ও যোগাসন উপস্থিত সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এল কে জি, ইউ কে জি বিভাগের শিক্ষার্থীদের সমবেত নৃত্য পরিবেশন সকলের ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করে।

এদিনের অনুষ্ঠানে সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্বজিৎ কুমার দাস ( প্রাক্তন ইস্ট বেঙ্গল ফুটবল প্লেয়ার, বর্তমান কোচ এবং আসানসোল ফুটবল অ্যাকাডেমির প্রধান সদস্য), অজয় গোস্বামী ( সেক্রেটারি, ডিএভি কলেজ এন্ড ম্যানেজিং কমিটি, নিউ দিল্লি) ও কমলেন্দু মিশ্র ( অ্যাসোসিয়েট ভাইস প্রেসিডেন্ট অফ হেলথ ওয়ার্ল্ড হসপিটাল)। এছাড়াও ডিএভি পশ্চিমবঙ্গ শাখার বিভিন্ন স্কুলের অধ্যক্ষগণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন।

অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষা ও ডি এ ভির আঞ্চলিক অধিকর্তা পাপিয়া মুখার্জি নেতাজির ১২৮ তম জন্মদিবস উপলক্ষে তাঁর জীবন আদর্শ স্মরণ করিয়ে বলেন যে “জীবনে চলার পথে বাধা আসবেই। সেগুলিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীকে মানসিক ভাবে শক্তিশালী হতে হবে।” তিনি অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “শুধু লেখাপড়ার জন্য সন্তানদের ওপর চাপ না দিয়ে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। স্পোর্টস এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণে সর্বদাই সাহায্য করে।” এরপর অতিথিগণ তাঁদের ভাষণে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করেন। বিশিষ্ট অতিথি তাঁর ভাষণে বলেন, “নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস দেশের জন্য লড়াই করেছিলেন, বর্তমানে শিক্ষার্থীদের উচিত খেলাধুলার মাধ্যমে দেশকে গৌরবান্বিত করা।”

অনুষ্ঠান শেষে অতিথিগণ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও শংসাপত্র তুলে দেন। সবশেষে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে প্রতিযোগিতার শুভ সমাপ্তি ঘটে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments