নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– আট বছর পর দুর্গাপুর স্টিল পিপলস কো-অপারেটিভ ব্যাংকের নির্বাচন হল। আর এই নির্বাচন ঘিরেই শুক্রবার উত্তেজনা ছড়াল। নির্বাচনে তৃণমূলের সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে সরব হল বিএমএস আর সিটু। তাদের অভিযোগ তৃণমূলের সন্ত্রাসে নির্বাচন হয়েছে একতরফা। যদিও সন্ত্রাসের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
২০১২ সালে শেষবার দুর্গাপুর স্টিল পিপলস কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে নির্বাচন হয়েছিল। সেই সময় নির্বাচনে জয়লাভ করেছিল তৃণমূল। ২০১৭ সালে মেয়াদ শেষ হবার পর থেকে আট বছর ধরে ব্যাঙ্কের কোনো নির্বাচন হয়নি। রাজ্যের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের হস্তক্ষেপে অবশেষে এই বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত হয়। এই ব্যাঙ্কের গ্রাহক সংখ্যা ১২ হাজার। ব্যাঙ্ক নির্বাচনে আসন সংখ্যা ৪২টি ।
সিটিুর অভিযোগ এই নির্বাচনে হিন্দুস্তান মজদুর সংঘ (এইচএমএস), কংগ্রেস শ্রমিক সংগঠন অনুমোদিত হিন্দুস্তান স্টিল ওয়ার্কার্স ইউনিয়ানকে সঙ্গে নিয়ে অলিখিতভাবে জোট বাঁধে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি। তাই হিন্দুস্তান স্টিল ওয়ার্কার্স ইউনিয়নকে ৬টি আসন ও হিন্দুস্থান মজদুর সংঘকে ৩টি আসন ছেড়ে দেয় তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি। বাকি ৩৩টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা থাকলেও তারা ৩৫টি আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করে। যাকে ঘিরেই শুরু হয় চূড়ান্ত দ্বন্দ্ব, হাতাহাতি। যা ঘিরে চরম উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরে দুর্গাপুর থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
সিটু ও বিএমএস নেতৃত্ব দাবি করেছে তৃমমূলের সন্ত্রাসের জেরে তাদের কেউ মনোনয়ন দাখিল করতে পারেননি। যদিও আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটক দাবি করেছেন সিটুর বর্তমানে কোনো জন সমর্থন নেই, তাই ওদের হয়ে কেউ দাঁড়াতে চায়নি। আর বিএমএস দুর্বলতা ঢাকতে মিথ্যা প্রচার করছে।





