নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– পানাগড়কাণ্ডে গলসি থেকে পানাগড়ের রাইসমিল রোডের দুর্ঘটনাস্থল পর্যন্ত কী ঘটেছিল জানতে, শনিবার মূল অভিযুক্ত বাবলু যাদবকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল কাঁকসা থানার পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার বাবলু যাদবকে গ্রেফতার করে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ। শুক্রবার তাকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে ২ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেয় কাঁকসা পুলিশ। এদিন দুপুরে তাকে পুলিশ গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয় গলসিতে। এবং ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে দুটি গাড়ি নিয়ে দুর্ঘটনার রাতে কী ঘটেছিল তার পুনর্নির্মাণ করা হয়।
প্রসঙ্গত রবিবার গভীর রাতে পানাগড়ের রাইসমিল রোড এলাকায় গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় চনন্দনগরের বাসিন্দা বছর ২৬-এর তরুণী সুতন্দ্রা চট্যোপাধ্যায়ের। তিনি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজে বিহারের গয়ায় যাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে। অভিযোগ গলসির কাছে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে তাদের গাড়িটি ধাওয়া করে কিছু মদ্যপ যুবকের একটি দল। তাদের হাত থেকে বাঁচতে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তরুণীর গাড়ি এবং অভিযুক্তরা দুর্ঘটনাস্থলের কাছেই গাড়ি ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এমনটাই দাবি ছিল তরুণীর গাড়ির চালকের।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে অভিযুক্ত গাড়ির মালিক পানাগড়ের গাড়ির পুরনো যন্ত্রাংশের ব্যবস্য়ায়ী বাবলু যাদব। দুর্ঘটনার দিন রাতে তিনিই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন।
যদিও দুর্ঘটনার পরদিনই কিছু সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এনে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরী দাবি করেন ইভটিজিং নয় বরং গাড়ি রেষারেষির জেরেই রবিবার রাতের দুর্ঘটনা ঘটে। পানাগড়ের দুর্ঘটনাস্থলের আগের একটি ফুটেজে দেখা যায় সাদা একটি গাড়ি (অভিযুক্ত যুবকদের গাড়ি বলে দাবি) দ্রুত গতিতে ছুটে যাচ্ছে, তার পিছনে আরও দ্রুত গতিতে ছুটছে একটি কালো গাড়ি (তরুণীর গাড়ি বলে দাবি)।
যদিও পুলিশ কমিশনারের বক্তব্যের তীব্র বিরোধীতা করে দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয় শিল্পাঞ্চলের বিজেপি নেতৃত্ব। অন্যদিকে দুর্ঘটনার তিনদিন পর বাবলু যাদব গ্রেফতার হলেও বাকিরা এখনও অধরা।





