জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,গুসকরাঃ- কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঘটলেও গত কয়েক বছর ধরে নিরবিচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে ইতিমধ্যেই বাংলার মানুষের প্রশংসা আদায় করে নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানি লিমিটেডের আধিকারিক থেকে শুরু করে কর্মীরা। সবাই যখন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সামাজিক উৎসবে মেতে ওঠে ওরা তখন সব ভুলে পরিষেবা দেওয়ার কাজে ব্যস্ত থাকে। পাশাপাশি একজন দায়িত্ববান নাগরিক হিসাবে বিদ্যুৎ সংক্রান্ত বিপদ সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য তারা পথে নেমেছে। ৪ ঠা মার্চ থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় জাতীয় সুরক্ষা সপ্তাহ পালন করে চলেছে। ব্যতিক্রম ঘটলনা গুসকরা বিদ্যুৎ দপ্তরেও ক্ষেত্রেও।
বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা সম্বলিত একটি সুসজ্জিত ট্যাবেলো ও ফেস্টুনকে সামনে রেখে পদযাত্রার মাধ্যমে ১০ ই মার্চ ৫৪ তম জাতীয় নিরাপত্তা সপ্তাহ পালন করল গুসকরা বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা। এই পদযাত্রা দপ্তরের সামনে থেকে শুরু হয় এবং গুসকরা শহরের বিভিন্ন প্রান্ত পরিক্রমা করে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করে। হুকিং করে বিদ্যুৎ চুরি না করার জন্য তারা সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন করেন। পাশাপাশি তাদের এই কর্মসূচির জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে যাতে কোনোরকম সমস্যা নাহয় সেই বিষয়ে তাদের সচেতন থাকতে দেখা যায়। পরে পদযাত্রা আবার দপ্তরে ফিরে আসে।
পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানী লিমিটেডের বর্ধমান (নর্থ) ডিভিশনের ডিভিশনাল ম্যানেজার মিঠুন মজুমদার, সহকারী ম্যানেজার (এইচ.আর এণ্ড এ) অরিত্র রায়, সিনিয়র কার্যনির্বাহী অফিসার তাজউদ্দিন আহমেদ, গুসকরার বিদ্যুৎ দপ্তরের স্টেশন ম্যানেজার আব্দুর গফফর সহ বনপাস, ভাতার, কুড়মুন, গলসী ও বুদবুদের স্টেশন ম্যানেজাররা এবং দপ্তরের অন্যান্য উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও কর্মীরা। এছাড়াও ছিলেন গুসকরা পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বেলী বেগম, চেয়ারম্যান কুশল মুখোপাধ্যায় ও কয়েকজন কাউন্সিলার।
মিঠুন বাবু বলেন – আমাদের লক্ষ্য হলো বিদ্যুৎ জনিত দুর্ঘটনার সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনা। সবার সহযোগিতায় আমরা অনেকটাই সফল হয়েছি। বিদ্যুৎ চুরি যাতে বন্ধ করা যায় তার জন্য তিনি সাধারণ মানুষের সহযোগিতা প্রার্থনা করেন। পাশাপাশি বিদ্যুৎ জনিত যেকোনো সমস্যার জন্য ঝুঁকি না নিয়ে তিনি সাধারণ মানুষকে স্থানীয় বিদ্যুৎ দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য পরামর্শ দেন।
যেকোনো পরিস্থিতিতে চব্বিশ ঘণ্টা ধরে আলোকিত সন্ধ্যা উপহার দেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের ভূয়সী প্রশংসা করে কুশল বাবু বলেন – এদের জন্যেই আমরা কার্যত লোডশেডিং শব্দটা ভুলে গেছি। নিজ নিজ এলাকায় কাজ করতে যাওয়ার সময় দপ্তরের কর্মীদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য তিনি এলাকাবাসীর কাছে আবেদন করেন।





