নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- দুর্গাপুরে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা নিয়ে সরব হয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করলেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। তিনি বলেন “বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে দাবিয়ে রাখতে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আইনগুলির পরিবর্তন করা হয়েছে।” শনিবার দুপুরে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে আইনজীবীদের একটি কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে এই অভিযোগ করেন আইন মন্ত্রী।
এদিন তিনি বলেন, “এই আইনগুলো এমন ভাবে পরিবর্তন করা হয়েছে, যাতে মিথ্যা মামলা করে দিনের পর দিন আটকে রাখা যায়। বিরোধী দলগুলি লোকসভায় বিরোধিতা করলে সহজেই সাসপেন্ড করাও যায়। নতুন আইনে এও বলা হয়েছে কারোর সাজা যদি ১০ বছরের বেশি হয় এবং সেটা যদি ওভার পাওয়ার করে গ্রেপ্তারের সময় তাহলে তাকে এনকাউন্টার করে দেওয়া যেতে পারে। এই কথা সরাসরি লেখা না থাকলেও ভালো করে পড়লেই বোঝা যাবে। আমরা মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে নতুন আইনের বিরোধিতা করেছি। প্রত্যেকটা আইনের ধারা আগে কি ছিল, কি কি পরিবর্তন হয়েছে সেগুলি উল্লেখ করে রাজ্য বিধানসভায় পাস করে লোকসভায় পাঠানো হয়েছে।”
প্রসঙ্গত বিএনএস বা ভারতীয় ন্যায় সংহিতা হলো ভারতের নতুন ফৌজদারি আইন, যা ভারতীয় দণ্ডবিধি (আইপিসি) এর পরিবর্তে চালু করা হয়েছে। এটি ১ জুলাই, ২০২৪ থেকে কার্যকর হয়েছে। বিএনএস কিছু নতুন অপরাধের সংজ্ঞা প্রবর্তন করেছে, যেমন – সংগঠিত অপরাধ, সন্ত্রাসবাদ, এবং নির্দিষ্ট কারণে কোনো গোষ্ঠীর দ্বারা খুন বা গুরুতর আঘাত ইত্যাদি। বিএনএস রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধের ধারাটি বাদ দিয়েছে। ব্যভিচার এবং ধর্ষণের মতো ব্যক্তিগত অপরাধ সম্পর্কিত আইনে কিছু পরিবর্তন এনেছে, এবং সংগঠিত অপরাধের সংজ্ঞা স্পষ্ট করেছে।
শনিবার দুপুরে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে আইনজীবীদের কর্মসূচিতে আইনমন্ত্রী ছাড়াও যোগ দিয়েছিলেন পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি কমিশনার পিভিজি সতীশ পশুমার্থী, দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অনুপম মুখোপাধ্যায় সভাপতি দেবব্রত সাঁই সহ বিশিষ্ট জনেরা।





