সংবাদদাতা, বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমানের গলসী ২ ব্লকের মসজিদপুর পঞ্চায়েতের মসজিদপুর গ্রামে সোলার সাবমার্সিবল প্রকল্পের কাজ অসম্পূর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকা সত্ত্বেও এবং নিম্নমানের মালপত্র দিয়ে কাজ করেও ঠিকাদার তার টাকা পেয়ে গেলেন। এই অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে খোদ শাসকদলের পঞ্চায়েত সদস্যাও। ইতিমধ্যেই এই ঘটনাকে ঘিরে সোস্যাল মিডিয়ায় চলছে ব্যাপক লেখালেখি। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রায় ৭-৮ মাস আগে ওই প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও এখনও তা শেষ হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে এবং চুক্তিভুক্ত ঠিকাদার আর কাজ করছেন না। স্থানীয়দের দাবি, বহুবার পঞ্চায়েত প্রধানকে জানিয়েও কোনও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা একিনা সেখ গত ১২ জুন গলসী ২ বিডিও-কে লিখিত অভিযোগও জমা দিয়েছেন। একিনা সেখ জানিয়েছেন, বিডিও তাঁকে জানিয়েছেন, ওই কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে এবং বরাতপ্রাপ্ত ঠিকাদার ইতিমধ্যেই টাকা পেয়ে গেছেন। কাজ শেষ না হয়ে কি করে ঠিকাদার টাকা পেয়ে গেলো- সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। অন্যদিকে, মসজিদপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মুন্সি মার্ডির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েছেন, জলের ট্যাংকের রং নিয়ে স্থানীয়দের আপত্তির কারণে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছিল। এই অবস্থায় তৎকালীন পঞ্চায়েত নির্বাহী সহায়ক শুভেন্দু মুখ্যোপ্যাধায় আর এ বিল করে যতটা কাজ হয়েছে তার বিল অনুমোদন করে দেন, আমিও তাতে সই করি এবং সেই অনুযায়ী ঠিকাদারকে টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়। তিনি জানিয়েছেন, এব্যাপারে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত কাজটা সম্পূর্ণ করা হবে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। প্রধান জানিয়েছেন, ওই এলাকার মানুষজন জলের ট্যাংক নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। ঠিকাদার যে ট্যাংক লাগাতে চেয়েছেন এলাকার মানুষ তাতে বাধা দেওয়ায় এই সমস্যা হয়েছে। এব্যাপারে স্থানীয়দের নিয়ে বসে খুব তাড়াতাড়ি সমাধান করা হবে। যদিও কাজ সম্পূর্ণ না করে কিভাবে ঠিকাদারকে টাকা দেওয়া হল সে ব্যাপারে প্রধান মুন্সি মার্ডি জানিয়েছেন, এই কাজের জন্য বরাদ্দ ছিল ২ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা। ঠিকাদারকে পেমেণ্ট দেওয়া হয়েছে ২ লক্ষ ৬৯ হাজার টাকা। তিনি জানিয়েছেন, নির্বাহী সহায়ক তাঁকে সই করতে বলেছিলেন তাই তিনি বিলে সই করেছেন। এব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না।





