eaibanglai
Homeএই বাংলায়যথাযোগ্য মর্যাদা সহকারে পালিত হলো 'গুরু পূর্ণিমা

যথাযোগ্য মর্যাদা সহকারে পালিত হলো ‘গুরু পূর্ণিমা

সৌভিক সিকদার, গুসকরা, পূর্ব বর্ধমান -: ‘গুরু ব্রহ্মা, গুরু বিষ্ণু, গুরুদেব মহেশ্বর/গুরুরেব পরমব্রহ্ম তস্মৈ শ্রীগুরুবে নমঃ’ – আমাদের পার্থিব জীবনে ‘গুরু’ শব্দটির প্রভাব কখনোই অস্বীকার করা যায়না। সংস্কৃতে ‘গু’ শব্দটির অর্থ হলো ‘অন্ধকার’ ও ‘রু’ শব্দের অর্থ হলো ‘দূর করা’। যিনি আমাদের মনের অন্ধকার দূর করে আলোর পথে এনে আত্মোপলব্ধি করতে সাহায্য করেন তিনিই হলেন প্রকৃত গুরু।আমাদের জীবনে গুরুর ভূমিকাকে স্মরণ করে তাঁদের শ্রদ্ধা জানানোর দিন হলো গুরুপূর্ণিমা। আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথির দিনটি ‘গুরু পূর্ণিমা’ হিসাবে পালন করা হয়। ভারত, নেপাল সহ অন্য বৌদ্ধ দেশগুলিতে হিন্দু, বৌদ্ধ ও জৈনধর্মের মানুষ এই দিনটি পালন করে থাকেন।

আমাদের জীবনে প্রথম গুরু হলেন মা-বাবা। জীবনের প্রতিটি ধাপে তাঁরাই আমাদের অজ্ঞানতার অন্ধকার থেকে জ্ঞানের আলোয় নিয়ে এসেছেন। তাই ‘গুরু পূর্ণিমা’র দিন আধ্যাত্মিক গুরুর পাশাপাশি মা-বাবার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

এইরকম একজন আধ্যাত্মিক গুরুদেব হলেন বৃন্দাবনের সর্বজন শ্রদ্ধেয় বিনোদ দাস বাবাজি মহারাজ। সাধারণ মানুষকে অজ্ঞানতার অন্ধকার থেকে জ্ঞানের আলোয় নিয়ে আসার জন্য তিনি দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ভক্তদের কাছে রাধাকৃষ্ণের মাহাত্ম্য তুলে ধরেন। গুসকরাতেও তার অসংখ্য ভক্ত আছেন। ভক্তদের টানে ‘গুরু পূর্ণিমা’র পূণ্য লগ্নে তিনি গুসকরার ধারাপাড়ায় আসেন। রাধাকৃষ্ণের মূর্তির সামনে চলে হরিনাম সংকীর্তন। প্রায় হাজার দু’য়েক ভক্তের হাতে তুলে দেওয়া হয় মহাভোগ। দূরদূরান্ত বহু ভক্ত সেখানে এসে উপস্থিত হন।

প্রদীপ প্রজ্বলিত করে ধারাপাড়ায় শ্রী শ্রী গুরুপূর্ণিমা মহোৎসবের সূচনা করেন গুসকরা পুরসভার পুরপ্রধান কুশল মুখার্জ্জী। বাবাজি তাকে আশীর্বাদ করেন এবং তার হাতে তুলে দেন মহাভোগ। তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রদীপ দাস, মাধব সাহা, চণ্ডীচরণ ব্যানার্জ্জী প্রমুখ।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments