সংবাদদাতা,আসানসোলঃ- রেলের উচ্ছেদ অভিয়ানকে ঘিরে উত্তেজনা। আইএনটিটিইউসি নেতার হস্তক্ষেপে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ রেখে ফিরে গেলেন রেলের আধিকারিকরা। ঘটনা আসানসোলের বাজার এলাকার।
জাতীয় সড়ক সংলগ্ন ইস্টার্ন রেলওয়ে স্কুলের সামনে ভারতীয় রেলের জমিতে জবর দখল করে গড়ে ওঠা দোকানগুলিকে অবৈধ ঘোষণা করে সোমবার এলাকায় উচ্ছেদ অভিযানে নামে রেল কর্তৃপক্ষ। ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেলে আধিকারিক ও কর্মীরা। নিরাপত্তার খাতিরে নিয়োগ করা হয়েছিল আরপিএফ বাহিনীকে। অন্যদিকে উচ্ছেদ অভিযানের কথা জানতে পেরে এলাকায় ছুটে যান আইএনটিটিইউসি নেতা রাজু আলুওয়ালিয়া ও পিন্টু গুপ্ত। তাঁরা রেলের কর্তব্যরত আধিকারিক ও আরপিএফ আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলে অভিযান স্থগিত রাখার আবেদন জানান। বিষটি নিয়ে প্রাথমিকভাবে দুপক্ষের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ ও বচসা শুরু হলেও অবশেষে এলাকার দোকানদারদের সম্মিলিত বাধার ফলে রেল আধিকারিকরা উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ রেখে ফিরে যেতে বাধ্য হন।
পরে তৃণমূল শ্রমিক নেতা রাজু আলুওয়ালিয়া সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, রেল আধিকারিকরা দোকান উচ্ছেদ করতে এসেছিলেন। কিন্তু তাদেরকে তা করতে দেওয়া হয়নি। কারণ এই সব দোকানীদের জীবিকার একমাত্র মাধ্যম তাদের এই ছোট ছোট দোকান। যার থেকে পরিবারের রুটি, রুজির ব্যবস্থা করেন এই সব ছোট ছোট ব্যবসয়ীরা। রেল এই গরীব মানুষদের পেটে লাথি মারছে। কেন্দ্রীয় সরকার ও কেন্দ্রের শাসক এদেরকে মেরে ফেলতে চায়। অন্যদিকে পুঁজিপতিদের রেলের তরফে জমি অপ্রতুল দামে লিজ দেওয়া হচ্ছে। এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মা মাটি মানুষের সরকার চলছে। শ্রমিক নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক এখানে আছেন। তাই এখানকার কোনও গরীব মানুষের প্রতি কোনও অবিচার হতে দেওয়া হবে না।”





