eaibanglai
Homeএই বাংলায়বিডিও সহ সরকারি আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে কুরুচিকর মন্তব্য, বিতর্ক

বিডিও সহ সরকারি আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে কুরুচিকর মন্তব্য, বিতর্ক

সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ- বাঁকুড়ার ওন্দায়, বিডিও সহ সরকারি আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে কুরুচিকর মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন বিজেপি নেতা। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। ওই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।

প্রসঙ্গত, সোমবার ওন্দায় বিজেপির ধিক্কার মিছিল শেষে বাসস্ট্যান্ডে অনুষ্ঠিত হয় পথসভা। যেখান থেকে ওন্দা পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা অঞ্জন নাগ চৌধুরী প্রকাশ্যে বিডিও মোসারফ হোসেনকে আক্রমণ করে বলেন, “সাদা খাতা জমা দিয়ে বিডিও হয়েছেন। এদের শুকরের বাচ্চা বললেও শুকরকে অপমান করা হয়।” এখানেই থেমে না থেকে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, “যেদিন যাবো লাথ মেরে দরজা ভেঙে দেবো।”

এমন কুরুচিকর মন্তব্য নিয়ে অবশ্যে কোনো অনুশোচনা প্রকাশ করেননি অঞ্জনবাবু। বরং ওই বক্তব্যের সমর্থনে তিনি বলেন, “বিডিও’র নেতৃত্বে দুই একজন পুরো পঞ্চায়েত সমিতিটাকে কুক্ষিগত করে রেখেছে। মানুষের পরিষেবা দিতে গেলে চেয়ারে অন্তত একজন মানুষকে বসাতে হয়। ওন্দাতে যাঁকে বসানো হয়েছে তাঁকে যদি আমরা শুকর বলি তাহল শুকর প্রজাতিকে অসম্মান করা হয়। এই বিডিও আসার পর থেকে বিডিও অফিসে সাধারণ মানুষের প্রবেশ বন্ধ হয়ে গেছে। যে কোনে ছেট কাজ যেমন ইনকাম বা কাস্ট সার্টিফিকেট নিতে গেলে মানুষের সঙ্গে কুকুর বিড়ালের মতো আচরণ করা হয়। এদিকে সরকারি বিডিও অফিসটাকে তৃণমূলের পার্টি অফির করা হচ্ছে। যে অফিস থেকে ব্লক ডেভালপমেন্টের কথা চিন্তা করার কথা, সেখান থেকে কি করে শুধু তৃণমূলের উপকার হবে সেই চিন্তা করা হচ্ছে। যার জন্য আমাদের ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে গেছে। আমরা বারে বারে অনুনয় বিনয় করেছি, অথচ এই বিডিও’র আমলে গত দুবছরে পঞ্চায়েত সমিতির একটাও জেলা মিটিং ডাকা হয়নি। ১৮ জন বিরোধী সদস্য সেখানে কোনো কাজ পাননা। কোন আলোচনায় ডাক পাননা। শাহী সমিতিরও কোনো মিটিং হয়না।”

অন্যদিকে অভিযোগ, অঞ্জনবাবু শুধু বিডিও নয়, জয়েন্ট বিডিও ও তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকেও তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। মঞ্চে উপস্থিত থেকে ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা তাঁর বক্তব্যকে সমর্থন করেন।

এদিকেবিজেপি নেতার এই মন্তব্যের তীব্র ভাষায় সমালোচনা করেন বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সম্পাদক ভবানী মোদক। তিনি বলেন, “যার ভাষা জ্ঞান নেই, যিনি একজন সরকারি আধিকারিককে (বিডিও) শুকরের বাচ্চা বলে অপমান করেন, তিনি আগে মানুষের কাছে ভদ্রতা শিখুন, তারপরে কথাবার্তা বলবেন। আমাদের মমতা ব্যানার্জির দলে এই শিক্ষা নেই। বিজেপি করেন বলেই এই কথা বলতে পেরেছেন। ওদের বিধায়ক সাংসদ থেকে শুরু করে সকলের ভাষাই একইরকম, নিম্নমানের। এদেরকে আমরা মানুষ বলে মনে করিনা।”

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments