নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- হিন্দুস্থান স্টীল এমপ্লয়ীজ ইউনিয়ন (সিআইটিইউ)-এর উদ্যোগে দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতালে সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হল। পাশাপাশি কারখানায় ওএসএইচ (পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বা অকুপেশনাল হেলথ অ্যান্ড সেফটি) তেও যাতে সাপে কাটা রোগী বা কর্মীদের চিকিৎসা করা যায় সে বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়েছে বলে দাবি সিটু শ্রমিক সংগঠনের।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য দীর্ঘদিন ধরেই দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতালে সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসার জন্য অত্যাবশ্যক অ্যান্টি ভেনম সিরাম (এভিএম) রাখা হচ্ছিল না। এদিকে দুর্গাপুর ইস্পাত নগরী, তার সন্নিহিত অঞ্চল এবং দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার অভ্যন্তরে নানা ধরনের বিষাক্ত সাপের উপদ্রব অত্যন্ত বেড়ে গেছে। সরকারের গাইডলাইন অনুযায়ী বিষাক্ত সাপে কাটা রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসায় অন্তত ১০ ভায়াল অ্যান্টি ভেনম সিরাম না প্রয়োগ করে রেফার করা যায় না। কারণ বিষাক্ত সাপে কামড়ানোর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই রোগীকে এভিএস না দিলে তাকে বাঁচানো মুশকিল। অন্যদিকে শহর সংলগ্ন পানাগড়ের আর্মি হাসপাতালেও এখন আর সিভিলিয়ান রোগীদের এভিএস দেওয়া হয় না। এই পরিস্থিতিতে সাপে কাটা রোগীদের নিয়ে দুঃশ্চিন্তা ক্রমশ বাড়ছিল।
অবশেষে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার প্ল্যান্ট লেভেল সেফটি কমিটির মিটিং-এ শ্রমিক কর্মচারী ও তাদের পরিবারের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে এই এভিএমের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি তুলে ধরে এইচএসএমইউ। নানা তথ্য,পরিসংখ্যান, যুক্তি দিয়ে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষকে এভিএম-এর ব্যবস্থা করা ও চিকিৎসকদের উপযুক্ত ট্রেনিং দিয়ে কারখানার অভ্যন্তরের ওএসএইচ এবং ইস্পাত হাসপাতালে সাপে কাটা রোগীর অবিলম্বে চিকিৎসার ব্যবস্থার দাবি করা হয়। এবং মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয় যে, দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আবার এভিএস কিনবে এবং ইস্পাত হাসপাতালের চিকিৎসকরা আবার সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসা শুরু করবেন।
এর পাশাপাশি ওই মিটিংয়ে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা ও ইস্পাত নগরীতে নিয়মিত ঝোপ-জঙ্গল পরিষ্কার করা, নিয়মিত ভালোভাবে হাউসকিপিং করা, নিয়মিত ব্লিচিং, ফিনাইল ইত্যাদি জায়গা মতো ছড়ানো এবং কারখানার কর্মীদের পর্যায়ক্রমে সর্প বিশারদদের দিয়ে ট্রেনিং দেওয়ানোর ব্যবস্থার করার কথাও তুলে ধরা হয় এবং আগামী দিনেও এই বিষগুলি নিয়ে লাগাতার দাবি জানানো হবে বলে সিটু শ্রমিক সংগঠন এইচএসইইউ-এর তরফে জানানো হয়েছে।


















