eaibanglai
Homeএই বাংলায়অকাল দীপাবলি পালনের তোড়জোড় দেশ জুড়ে

অকাল দীপাবলি পালনের তোড়জোড় দেশ জুড়ে

নিউজ ডেস্কঃ আবারও প্রত্যাঘাত ভারতের। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর এবার রাতের অন্ধকারে পাক ভূখন্ডে ঢুকে ভারতীয় বায়ুসেনার প্রত্যাঘাত। আর সেই ভয়াবহ প্রত্যাঘাতে তটস্থ পাকিস্তান তথা পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠী। গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় গাড়িবোমা বিস্ফোরণে ৪২ জন ভারতীয় জওয়ান শহীদ হওয়ার পর থেকেই পাল্টা প্রত্যাঘাতের দিন গুনছিল ভারতবাসী। চুপ নয়, পাল্টা হামলার দাবিতে সরব হয়েছিল গোটা দেশ। সেইমতো মঙ্গলবার ভোর রাতে ভারতের বিভিন্ন বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে মোট ১২টি মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান একসাথে ঢুকে পড়ে পাকিস্তানের আকাশে। আগে থেকেই চিহ্নিত পাক ভূ-খন্ডের ৮০ কিলোমিটার অভ্যন্তরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জঙ্গি-ঘাঁটিগুলিকে নিশানা করে একের পর এক বোমা ফেলে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। সাধারণ নাগরিকদের ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে নির্দিস্ট নিশানায় এই এয়ার স্ট্রাইক করা হয়েছে বলে জানা গেছে। অতর্কিতে করা এই হামলায় বিভিন্ন ঘাঁটিগুলিতে লুকিয়ে থাকা ২০০ থেকে ৩০০ জন জঙ্গিকে খতম করা গেছে বায়ুসেনার তরফে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। আর ভারতের তরফে করা এই এয়ার স্ট্রাইকের খবর প্রকাশ্যে আসতেই দেশবাসী মেতেছে উৎসবে। অকাল দীপাবলি উদযাপনের প্রহর গুনছে গোটা দেশ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে কথা দিয়েছিলেন সেইমতো পাকিস্তানে ঢুকে ভারতের হামলার পর গোটা দেশ জুড়ে এখন উৎসবের আবহ, প্রতিশোধের জয়োল্লাস। সুত্র মারফৎ জানা গেছে, সন্ধ্যা নামতেই আলোর রোশনাই সেজে উঠতে চলেছে গোটা দেশ। মোমবাতি থেকে শুরু করে জাতীয় পতাকা কিনতে বিভিন্ন দোকানে দোকানে লম্বা লাইন। এযেন ২৬শে জানুয়ারি কিংবা ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবসকেও হার মানাবে। তেরঙ্গা বিক্রি করতে গিয়েও হিমসিম খাচ্ছেন দোকানদাররা। আচমকায় এত পতাকার চাহিদা সামাল দিতে পারছেন না দোকানীরা। একদিকে পতাকা বিক্রির যেমন চাহিদা বেড়েছে তেমনি একই অবস্থা মোমবাতির ক্ষেত্রেও। বেশিরভাগ দোকানেই মোমবাতির স্টক শেষ হওয়ার মুখে। গোটা দেশবাসীর এহেন উল্লাস দেখে আজ সত্যিই বলতে উচ্ছে করছে “দ্যাটস দ্য জোশ”। চ্যানেল এই বাংলায় এর তরফে সকল দেশাবাসীকে অভিনন্দন। জয় হিন্দ। বন্দে মাতরম।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments