নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ প্রথম দফার লোকসভা ভোট তুলনামূলক শান্তিপূর্ন হলেও বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফার নির্বাচন শুরু হতেই সন্ত্রাসের কবলে পড়লো রাজ্য। বৃহস্পতিবার রাজ্যে ৯৮টি আসনে সকাল থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হলেও বিভিন্ন জায়গা থেকে অশান্তির খবর পাওয়া গেছে। উদাহরণ হিসেবে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের গোয়ালপোখরের ঘটনা উল্লেখ্য। যেখানে ভোটগ্রহণ চলাকালীন ছবি তুলতে গিয়ে শাসকদলের দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যম তথা চিত্র সাংবাদিকদের বেধড়ক মারধরের ঘটনা সামনে এসেছে। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরের সিটিসেন্টারে দুর্গাপুর-বর্ধমান লোকসভা কেন্দ্রের SUCI প্রার্থী সুচেতা কুন্ডু সহ দলীয় কর্মীরা অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন। তাদের বক্তব্য, রায়গঞ্জে মহিলাদের ভোট দানে বাধা দেওয়ায় মহিলা ভোটাররাই সাংবাদিকদের ঘটনার বিষয়ে জানান। এরপর সাংবাদিকরা সেখানে গেলে সাংবাদিকদের ওপর দুষ্কৃতিরা চড়াও হয়। একজন চিত্রসাংবাদিককে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতা প্রসঙ্গে সুচেতা কুন্ডু জানান, নির্বাচনহ কমিশন আগে থেকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিলে এই ধরনের ঘটনা ঘটত না। পাশাপাশি তিনি জানান, প্রত্যেক দিন লোকসভা ভোট পিছু খরচ হচ্ছে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা করে। অর্থাৎ ৭ দফা ভোটের ৭৮ দিনে খরচ প্রায় ৭১ হাজার কোটি টাকারও বেশি। তাঁর বক্তব্য, এত টাকা খরচ করে এভাবে সন্ত্রাসের ভোট করার কোনও মানেই হয়না। রায়গঞ্জের ঘটনার পাশাপাশি দার্জিলিংয়ের চোপড়ায় ভোট গ্রহনকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসের ঘটনার কড়া নিন্দা করেন তিনি। রাজ্যে যখন দ্বিতীয় দফার ভোটকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসের আবহ তখন বৃহস্পতিবার সকালেই পুরুলিয়ায় ফের এক বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো। ঘটনা পুরুলিয়ার আড়ষা থানার সেনাবনা গ্রামের। এদিন সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা গ্রামের অদূরে ডোবার পাশে একটি গাছে যুবকের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায়। মৃতের নাম শিশুপাল সহিস। জানা গেছে বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত শিশুপালের বাবা যাদব সহিস গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি-র জয়ী সদস্য। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকেল থেকেই তার কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। কিন্তু কি কারণে এই মৃত্যু তা নিয়ে ধোঁয়াশায় সকলেই।
সন্ত্রাসের আবহেই রাজ্যে দ্বিতীয় দফার ভোট, উদ্ধার বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ
RELATED ARTICLES