নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ সামনেই মেয়ের বিয়ে দেওয়ার চিন্তাভাবনা ছিল, তাই ছোট্ট একটি পান গুমটি চালিয়েই এক লক্ষ পাঁচ হাজার টাকা তিল তিল করে জমিয়েছিলেন কাঁকসা থানার রাজবাঁধ বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা হরিহর মোদী। বাড়ি ঝাড়খন্ডে হলেও তিনি কাঁকসা এলাকায় দোকান চালানোর জন্য থাকেন। সম্প্রতি তার অ্যাকাউন্ট থেকেই রহস্যজনকভাবে গায়েব হয়ে গিয়েছে এক লক্ষ পাঁচ হাজার টাকা। হরিহর মোদী নামে ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, কিছুদিন আগে তিনি ব্যাঙ্কের পাসবই আপডেট করতে গিয়ে দেখেন তার অ্যাকাউন্ট থেকে বিভিন্ন জায়গা থেকে ৬ বারে মোট এক লক্ষ পাঁচ হাজার টাকা কেউ বা কারা তুলে নিয়েছে। অথচ ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টের তথ্য, পাসবই, এটিএম সবই তিনি ছাড়া কেউই জানেন না বলে দাবি করেছেন হরিহর মোদী নামে ওই ব্যক্তি। পাশাপাশি তিনি এও জানান, ব্যাঙ্কের কর্মী বা কোনও সংস্থার নাম করে তার কাছে কোনও ভুয়ো ফোনও আসেনি তার কাছে। ঘটনা জানার পর তিনি ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করলে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার কথা বলা হয়। সেইমতো তিনি কাঁকসা থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে পুলিশের তরফে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করা হয় বলে জানিয়েছেন তিনি। পুলিশের কথামতো তিনি সাইবার অপরাধ দমন শাখায় অভিযোগ দায়ের করলে সেই অভিযোগে কপি তিনি ব্যাঙ্কে জমা দেন। প্রতারিত ওই ব্যক্তির অভিযোগ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে বারবার আবেদন জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে এখনও তার খোয়া যাওয়া টাকার কোনও কুলকিনারা পাননি তিনি। এরকম পরিস্থিতি চরম বিপাকে ওই অসহায় পান বিক্রেতা। এই ধরণের ঘটনা রাজ্যে এই প্রথম নয়, এর আগেও বহুবার এটিএম জালিয়াতির শিকার হয়েছেন বহু গ্রাহক। কিন্তু, এক্ষেত্রে কোনও ভুয়ো ফোন না আসা সত্ত্বেও কোনও গ্রাহকের ব্যাঙ্ক থেকে কী করে রহস্যজনকভাবে টাকা গায়েব হয়ে গেল সে নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরী হয়েছে।