eaibanglai
Homeএই বাংলায়স্কুল আছে শিক্ষক নেই, আজব সংকটে পুরুলিয়া জেলার পড়ুয়ারা

স্কুল আছে শিক্ষক নেই, আজব সংকটে পুরুলিয়া জেলার পড়ুয়ারা

নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ ঢাল নেই, তরোয়াল নেই, নিধিরাম সর্দার। হ্যাঁ, এমনই অবস্থা এখন পুরুলিয়া জেলার একাধিক স্কুলগুলির। বিদ্যালয় রয়েছে, পড়ুয়াও রয়েছে কিন্তু বিদ্যালয়ে পড়ানোর জন্য নেই পর্যাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা। এমনই অভিযোগ তুলেছেন পুরুলিয়া জেলার সাধারণ মানুষ। তাদের অভিযোগ জেলায় শিক্ষাব্যবস্থার হাল ফেরাতে ব্যর্থ তৃণমূল সরকার| উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলগুলি পরিকাঠামোহীন, কোথাও শ্রেণিকক্ষ নেই আবার কোথাও শিক্ষকের আকাল| অথচ ২০১৯ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিকে পাশের হার বেড়েছে অনেকটাই| কিন্তু মাধ্যমিক পরীক্ষার পর অনেকটা সময় অতিবাহিত হয়ে গেলেও শিক্ষকহীনতার কারণে স্কুলগুলিতে ভর্তি নিতে পারছে না ছাত্র-ছাত্রীরা, আবার কোনও কোনও জায়গায় পড়ুয়ারা ভর্তি হতে গেলেও শিক্ষকের অভাবে হাত তুলে দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। একদিকে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা ssc ২০১৪ থেকে বন্ধ। বহু পড়ুয়া পাশ এসএসি পরীক্ষায় উত্তীর্ন হয়েও বর্তমানে পেটের দায়ে নিরাপত্তারক্ষীর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন অথচ রাজ্যের বেশিরভাগ বিদ্যালয়গুলিতে পর্যাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকার অভাবে পড়ুয়াদের ভর্তি পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে না স্কুলগুলিতে। যেমন ধরা যাক পুরুলিয়ার ঝালদা এলাকার চিত্র। ঝালদা থানা এলাকায় বর্তমানে মাধ্যমিক স্তরের স্কুল রয়েছে ১৭টি। আর এই এলাকা থেকে এবছর মাধ্যমিক পাশ করেছে ১৯৯০ জন পড়ুয়া।| আর উচ্চমাধ্যমিক স্কুল রয়েছে ১৪টি। কিন্তু এলাকার মোট ৩১টি স্কুলের কোনওটিতেই বর্তমানে ন্যূনতম শিক্ষক-শিক্ষিকা নেই বলে অভিযোগ। যেখানে প্রত্যেক স্কুলে বিভাগ প্রতি অন্তত চার জন করে শিক্ষক প্রয়োজন সেখানে কোনও কোনও স্কুলে ২ জন করে শিক্ষকও নেই। ঝলদা সত্যভামা বিদ্যাপীঠে কলা, বিজ্ঞান ও কমার্স বিভাগের জন্য প্রয়োজন ১৪ জন শিক্ষকের কিন্তু রয়েছেন ৭ জন, ঝালদা গার্লস স্কুলে প্রয়োজন ১০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা, কিন্তু আছেন মাত্র ৩ জন| নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষিকার সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, তৃণমূল সরকার শুধু নাম কুড়োতে কাগজে-কলমে মাধ্যমিক স্কুলগুলিকে উচ্চমাধ্যমি স্তরে উন্নীত করেছে, বাস্তবে কোনও পরিকাঠামোই নেই স্কুলগুলিতে। তাঁদের বক্তব্য, শুধু ঝালদা নয়, পুরুলিয়া জেলা বিভিন্ন এলাকায় মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্কুলগুলির বর্তমান অবস্থা এমনই বেহাল| একদিকে প্রত্যেক বছর স্কুল পড়ুয়া এবং পাশের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও সেই হিসেবে নিয়োগ হচ্ছে না শিক্ষক-শিক্ষিকা। ফলে দিনের পর দিন স্কুলগুলিতে শিক্ষক মান কমতে থাকলেও সেইদিকে কোনও নজর নেই শিক্ষাদফতরের।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments