নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়াঃ আষাঢ় মাস ঢুকে গেলেও গ্রীষ্মের দাপটে বাঁকুড়ায় এখনও চলছে তাপপ্রবাহ। আর আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনার জন্য পরিবেশবিদরা অন্যতম দায়ী বলে মনে করছেন দিনের পর দিন গাছ কেটে ফেলাকেই। যার ফলে বাড়ছে গরমের মাত্রা। এইভাবে গরমের প্রভাব বাড়তে থাকলে ভবিষ্যতে পৃথিবীতে বসবাস করতে সমস্যায় পড়তে হবে সমস্ত প্রাণীকুলকে। বিশ্ব উষ্ণায়নের এর জন্য দায়ী শুধু গাছ কাঁটা বা কলকারখানার ধোয়া নয়, নতুন করে এই পরিবেশ দূষণের অন্যতম ভূমিকা পালন করছে গ্রামাঞ্চলে বিঘার পর বিঘা জমিতে ধান ঝাড়াইয়ের পর খড় পোড়ানো। বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের নারায়ণপুর অঞ্চল চাষবাসের জন্য খুব পরিচিত। কিন্তু এখানকার বেশির ভাগ চাষীরা ধান কাটে মেশিনের সাহায্যে। ফলে ধান ঝাড়াই করার পর খড় গুলো পরে থাকে ওই মাঠের মধ্যে। আর সেই খড়েই অবৈজ্ঞানিকভাবে আগুন ধরিয়ে মাঠ পরিষ্কার করার ফলে ব্যাপকভাবে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। এই খড়ের আগুন দু-তিন দিন ধরে জ্বলতে থাকায় ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে চারিদিক। শুধু তাই নয়, দীর্ঘক্ষন আগুন জ্বলতে থাকায় উর্বরতা হারাচ্ছে কৃষি জমি, কারন আগুনের তাপে পুড়ে যাচ্ছে মাটির তলায় থাকা উপকারী জীব এবং ব্যকটেরিয়া| স্থানীয় চাষী নিবাস ঘোষ বলেন এই সময় শ্রমিক পাওয়া যায় না তাই মেশিন দিয়ে ধান কাটতে হয়। মেশিন দিয়ে ধান কাটার পর খড় গুলো ভালো থাকে না তাই ওগুলো পুড়িয়ে ফেলতে হয়। অন্য এক কৃষক জানালেন এই খড় পোড়ানোর ফলে পরিবেশে চাষের ক্ষেত্রে এবং পরিবেশের এত ক্ষতি হয় সেটা জানা ছিল না। এই প্রসঙ্গে পাত্রসায়ের বিজেপির মন্ডল সভাপতি তমাল কান্তি গুই বলেন এই বিষয়টি আমাদের অজানাই ছিল। যেখানে এই ধরণের কাজ কৃষকরা করবে তাঁদেরকে গিয়ে আমরা পরিবেশ এবং মাটির ক্ষতির বিষয়টা বুঝিয়ে বলা হবে| এই ধরণের ঘটনা যাতে ভবিস্যতে না ঘটে সেদিকে নজর দেওয়া হবে।