নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশের পর থেকে “কাটমানি” তত্বকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত এই মুহূর্তের রাজ্য-রাজনীতি। বলতে গেলে চলতি বছরে রাজ্যে নতুন শব্দ হিসেবে ইতিমধ্যে প্রথম স্থান দখল করে নিয়েছে “কাটমানি” শব্দটি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া নির্দেশ অনুযায়ী অবিলম্বে শাসকদলের সমস্ত ছোট-বড় নেতৃত্বকে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে নেওয়া কাটমানি দ্রুত ফেরত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে শাসকদলের নেতাদের দেওয়া কাটমানি ফেরতের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন রাজ্যবাসী। কিন্তু বৃহস্পতিবারের ঘটনা চলতি কাটমানি ইস্যুতে নতুন মাত্রা যোগ করল। কারণ, এবার প্রকাশ্য সালিশি সভায় কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বাড়ি পাওয়া উপভোক্তাদের কাছ থেকে ‘কাটমানি’ নেওয়ার অভিযোগ সর্বসমক্ষে স্বীকার করলেন চারজন তৃণমূল নেতা। অবিশ্বাস্য হলেও এমনই ঘটনা ঘটেছে বাঁকুড়ার পাত্রসায়র থানা এলাকার হাটকৃষ্ণনগরে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাত্রসায়র থানার হাটকৃষ্ণনগর গ্রামের বাবু বাউরী, ইন্দ্রজিৎ বাউরী, রঘুনাথ সাঁতরা ও বিপুল বাউরী নামে চার তৃণমূল কর্মীকে গ্রামবাসীরা ‘কাটমানি’ নেওয়ার অভিযোগে আটক করে। তাদের আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি স্থানীয় কাঁকরডাঙ্গা মোড়ে নিয়ে গিয়ে প্রকাশ্যে ‘সালিশি সভা’ ডাকা হয়। সেখানেই এই চার তৃণমূল নেতা ‘কাটমানি’ নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। এখানেই থেমে না থেকে দলের স্থানীয় নেতৃত্বের নির্দেশেই তারা উপভোক্তাদের কাছ থেকে কাটমানি নিতেন বলে স্বীকার করেছেন। এদিন সালিশি সভা শেষে ‘আমরা চোর, তৃণমূল কংগ্রেস’ লেখা প্ল্যাকার্ড গলায় ঝুলিয়ে এবং মুচলেকা লিখিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানা গেছে গ্রামবাসীদের বয়ান থেকে। পরে অভিযুক্ত বাবু বাউরী, ইন্দ্রজিৎ বাউরী সহ অভিযুক্ত ওই চারজন তৃণমূল নেতা সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনেও স্বীকার করে নেন কাটমানি নেওয়ার কথা। টাকার পরিমান প্রায় সাত লক্ষ টাকা বলে জানা গেছে।