সঞ্জীব মল্লিক , বাঁকুড়া : জগন্নাথ দর্শণে পুরী-ভূবনেশ্বরে সুপারস্টার, ফিল্ম স্টার, নেতা মন্ত্রীদের সব সিবিআইএর ডাক পড়েছে। ২০২১ সাল পর্যন্ত যতোদিন এই সরকার থাকবে ততো দিন এই ডাক চলতেই থাকবে। তার পর এরা কেউ ঘরের ভাত খাবার সুযোগ পাবেনা। জেলের ভাত খাবে। শনিবার বাঁকুড়ার ওন্দা স্টেডিয়ামে দলের এক সভায় শাসক দলের কারো নাম না করে ঠিক এই ভাষাতেই বিঁধলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি, সাংসদ দিলীপ ঘোষ। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, আর.জে.ডি নেতা লালু প্রসাদ যাদবের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, তিনি এক সময় বলতেন, সিঙ্গাড়ার ভীতরে যতো দিন আলু থাকবে, বিহারে ততোদিন লালু থাকবে। কিন্তু এখন তা উল্টে হয়ে গেছে, সিঙ্গাড়াতে আলু যতোদিন, জেলে লালু ততো দিন। তাই ছোটো বড় তিনি যেই হোন না কেন গরীব মানুষের টাকা খেয়ে নিয়ে কেউ রেহাই পাবেননা বলেও দিলীপ ঘোষ হুঁশিয়ারী দেন। এই মুহূর্তে সংবাদ শিরোনামে থাকা শিক্ষকদের অনশন ও নিয়োগ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, সব ক্ষেত্রেই দূর্ণীতি হয়েছে। সি.এ.জি রিপোর্টে সেই কথা প্রমানিত বলে তিনি দাবী করেন। তৃণমূলের ২১ জুলাই সমাবেশকে কটাক্ষ করে বলেন, ওখানে ‘দিদিমনি সার্কাস’ করবেন। ঐ সার্কাস দেখতে ওন্দা এলাকা থেকে কেউ যাবেন কিনা সেনিয়েও উপস্থিত কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছোঁড়েন দিলীপ ঘোষ। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্র হাত ছাড়া হয়েছে তৃণমূলের। দুই কেন্দ্রেই জয়ী বিজেপি। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জেলার ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তাদের বিষ্ণুপুরের প্রার্থী সৌমিত্র খাঁকে এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তা সত্ত্বেও তাঁর স্ত্রী সুজাতা খাঁ দিন রাত এক করে প্রচার করেছেন। জয়ী হয়েছেন সৌমিত্র খাঁ। ২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচনে গায়ের জোরে তাদের আটকে দেওয়ার ফল পেয়েছে তৃণমূল। লোকসভা ভোটে পঞ্চায়েতের ভোটের বদলা মানুষ নিয়েছেন বলেও এদিন তিনি দাবী করেন। সভাশেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তৃণমূল নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘যখন যাচ্ছেন মানুষের ধার দেনা মিটিয়ে দিয়ে যান। ওনাদের দিদিমনি তো বলেই দিয়েছেন, এক জায়গায় দিলে হবেনা। সব জায়গাতেই ফেরৎ দিতে হবে’ বলেও এদিন তিনি দাবী করেন। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত ধরে এদিন ২০০ সংখ্যালঘু পরিবার সহ ৩৭৫ টি পরিবার তাদের দলে যোগ দিয়েছেন বলে বিজেপি সূত্রে দাবী করা হয়েছে। এদিনের বিজয় সমাবেশে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি স্বপন ঘোষ, নেত্রী সুজাতা খাঁ, দলের নেতা অমর শাখা প্রমুখ ।