সঞ্জীব মল্লিক, এই বাংলায়ঃ স্কুল থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে বিডিআর রেললাইন। আতঙ্ক নিয়েই পারাবার পড়ুয়াদের। যেকোন মুহূর্তে ঘটতে পারে প্রাণহানির মত দুর্ঘটনা। এছবি পাত্রসায়ের থানার পাত্রসায়ের গ্রাম পঞ্চায়েতের বোরলবাঁন্দী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। বছরের পর এভাবেই বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের রেললাইনের উপর দিয়ে পারাবার করতে হচ্ছে। স্কুল পড়ুয়ার পাশাপাশি স্থানীয়রাও এই রেললাইনটি পারাবার করে থাকেন। আশেপাশের কয়েকটি গ্রাম থেকে ৯৮ জন ছাত্র ছাত্রী এই স্কুলে পড়তে আসে। সকল অভিভাবকরা ছেলে মেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে আতঙ্কে থাকেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত দাস বলেন, আমরা অনেকবার উদ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি কিন্তু আশ্বাস পাওয়া ছাড়া আর কোন কাজ হয়নি। এক অভিভাবক সুজিত বাগ বলেন, আমরা আতঙ্ক নিয়েই ছেলে মেয়েদের স্কুলে পাঠাচ্ছি। আগামীদিনে ছেলে মেয়েদের স্কুলে ছেলে মেয়েদের পাঠাবো কোন ভরসায়, কেননা কোন বিপদ হলে দায় কে নেবেন। স্কুল পড়ুয়া নৈতিক কোনার ও নিবেদিতা লোহার বলেন, আমরা আতঙ্ক নিয়েই স্কুলে খেলাধুলা করি ও রেললাইন পারাপার করে থাকি। তাই খুব দ্রুত একটি প্রাচীর তৈরী করে দিলে ভালো হয়। এবিষয়ে পাত্রসায়ের ব্লকের এসআই গণেশ গড়াই এর সাথে যোগায়োগ করা হলে তিনি আমাদের ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে চাননি একপ্রকার এড়িয়ে গিয়েছেন কিন্তু কেন উঠছে প্রশ্ন। বিষ্ণপুর এসডিও মানস মন্ডল বলেন, আমরা জানি ফাণ্ড নিয়ে একটা সমস্যা হচ্ছিল , তবে যত তারাতারি সম্ভব যে কোন একটা ফাণ্ড থেকে আমরা ওই স্কুলের প্রচীরটা তৈরী করে দেবো। তিনি বলেন মাস খানেকের মধ্যেই ফাণ্ড এসে গেলে কাজ শুরু হয়ে যাবে।