নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ পূর্ব নির্ধারিত সূচী মেনে সোমবার পূর্ব বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠকে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ঠিক সেই দিনেই পশ্চিম বর্ধমান জুড়ে সোমবার ধর্মঘটে সামিল হয়েছে জেলার পাঁচটি বাস মালিক সংগঠন। যার কারণ হিসেবে প্রধান দায়ী করা হয়েছে জেলা জুড়ে বাড়তে থাকে টোটো এবং অটোর দৌরাত্ম্য। বাস মালিক সংগঠনের অভিযোগ, টোটো এবং অটোর দৌরাত্ম্য দিনের পর দিন। একাধিকবার বিভিন্ন প্রশাসনিক দফতরে বিক্ষোভ থেকে শুরু ক্রে ডেপুটেশন দিলেও লাগাম টানতে ব্যর্থ প্রশাসন। তাদের অভিযোগ পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর, আসানসোল সহ বিভিন্ন জায়গায় বর্তমানে শয়ে শয়ে বেআইনি টোটো এবং অটো বহাল তবিয়েতে রাস্তায় ঘুরছে। ফলে দিনের পর দিন লোকসান বাড়ছে মিনিবাস মালিকদের। বাসের থেকে টোটো এবং অটো তুলনামূলক আরামদায়ক ও সময় সাপেক্ষ হওয়ায় বাসের থেকে টোটো এবং অটোতে যাতায়াতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন সাধারণ মানুষ। আর এর জেরেই প্রমাদ গুনছে মিনিবাস সংগঠনগুলি। তাদের অভিযোগ, আগেও একাধিকবার প্রশাসনের কাছে দরবার করা হয়েছে। কিন্ত প্রশাসনের তরফে একাধিকবার অভিযান, বেআইনি টোটো এবং অটো বাজেয়াপ্ত করা হলেও এদের দৌরাত্ম্যে লাগাম টানা যায়নি। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই বাস মালিক সংগঠনগুলি একজোট হয়ে ধর্মঘটে নামার সিদ্ধান্ত নেয়। সেইমতো সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিনেই সকাল থেকে পশ্চিম বর্ধমানের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে প্রায় ১২০০ মিনিবাস পরিষেবা বন্ধ রেখে ধর্মঘটে সামিল হয়। যার জেরে স্তব্ধ হয়ে পড়ে জেলার অন্যতম পরিবহন ব্যবস্থা। সপ্তাহের প্রথম দিনে আচমকায় মিনিবাস পরিষেবা বন্ধ রেখে ধর্মঘটে সামিল হওয়ায় চরম ভোগান্তির শিকার হন সাধারণ মানুষ থেকে অফিস যাত্রীরা। যাত্রীদের অভিযোগ, আগাম না জানিয়ে হঠাৎ করে এভাবে ধর্মঘট ডাকায় চরম দুর্ভোগের শিকার হলেন তারা। আর বাস ধর্মঘটের এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ফের জেলা জুড়ে অটো এবং টোটো চালকদের দাপটের অভিযোগও উঠছে। যাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, বাস বন্ধের সুযোগে ঝোপ বুঝে কোপ বসাচ্ছে টোটো এবং অটো চালকেরা। জানা গেছে, শুধু পশ্চিম বর্ধমানেই নয় পূর্ব বর্ধমানেরও বেশ কিছু মিনিবাস এই একই অভিযোগে ধর্মঘটে সামিল হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর পূর্ব বর্ধমান সফরের দিনেই দুই বর্ধমান জেলায় মিনিবাস ধর্মঘটের ডাক। এহেন পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী কী পদক্ষেপ করেন সেদিকেই তাকিয়ে এখন জেলাবাসী।