নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ গত কয়েক মাস ধরে দুর্গাপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে গৃহস্থের বাড়িতে রাখা দুচাকা ও চার চাকা গাড়িতে একের পর এক অগ্নিকান্ডের ঘটনা এখনও দুর্গাপুরবাসীর মনে আছে। বেশ কয়েকমাস একের পর এক গাড়িতে আগুন লাগিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটার পর চলতিমাসেই শিল্পাঞ্চলবাসীর আতঙ্কে যবনিকা পতন হয়েছে। পুলিশের তদন্তে আগুন লাগানোর ঘটনায় জড়িত থাকার ঘটনায় দুজন আরজি পার্টির সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেইসঙ্গে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে দুর্গাপুরবাসী। কিন্তু, শিল্পাঞ্চলবাসীর সেই স্বস্তিতে একরাশ আতঙ্ক নিয়ে এবার নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠল গাড়ির যন্ত্রাংশ চুরির ঘটনা। সামনেই পুজোর মরসুম। শিল্পাঞ্চল জুড়েই এখন পুজোর কেনাকাটায় ব্যস্ত দুর্গাপুরবাসী। আর সেই সুযোগেই শিল্পাঞ্চল জুড়ে গাড়ির যন্ত্রাংশ এবং গৃহস্থের মূল্যবান সামগ্রী চুরির একটি চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ঘটনা সোমবার রাতের। দুর্গাপুর স্টীল টাউনশিপের কাশীরাম রোড সংলগ্ন একটি ফাকা মাঠে প্রত্যেকদিনের মতো সোমবার রাতেও এলাকার কিছু গাড়ি ব্যবসায়ী তাঁদের জেসিবি, ট্রাক, লরি এবং মিনিবাস দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন। শিল্পাঞ্চলে সক্রিয় একটি দুস্কৃতি দল সোমবার রাতে হানা দিয়ে কাশীরাম রোডের রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সমস্ত গাড়িগুলি থেকে গাড়ির ব্যাটারি ও দামী যন্ত্রাংশ চুরি করে। বাস, জেসিবি সমস্ত গাড়ির দরজা খুলে যন্ত্রাংশ চুরির পাশাপাশি আশেপাশের বাড়ির জানালা দিয়ে বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন চুরি করে চম্পট দেয় দুস্কৃতিরা। মঙ্গলবার সকালে এলাকার বাসিন্দারা বাইরে আসতেই তাদের নজরে পড়ে সমস্ত গাড়ির দরজা খোলা, ব্যাটারি ও দামী যন্ত্রাংশ গায়েব। জানা গেছে মোট ৯টি গাড়ির যন্ত্রাংশ ও ব্যাটারি চুরি গেছে। ব্যাটারিগুলির এক-একটির বাজারদর প্রায় ২৫ হাজার টাকা করে। ঘটনা ছড়িয়ে পড়তেই দুর্গাপুর স্টীল টাউনশিপ এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে বি-জোন ফাড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহজনক গাড়ির চাকার দাগ পায় পুলিশ। অন্যদিকে কাঁকসা থানার পুলিশ তদন্তে নেমে গত কয়েকদিন আগে গোপালপুর উত্তরপাড়া এলাকা থেকে চুরি যাওয়া কারখানার যন্ত্রাংশ সমেত ৪জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের নাম- সুরেশ ঘোষ, পিন্টু বালা, সঞ্জয় সমাদ্দার, আশিস হাওলাদার। ধৃতদের জেরা করে গোপালপুরের তালপুকুর থেকে চুরি যাওয়া যন্ত্রাংশ এবং চুরির কাজে ব্যবহার করা একটি গাড়ি উদ্ধার করেছে কাঁকসা থানার পুলিশ।