বিশেষ প্রতিনিধি, বর্ধমানঃ- হপ্তা কালের ভেতরই কালনার দাপুটে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা খুনে নিযুক্ত সুপারি কিলার ও তার নিয়োগকারী এক তৃণমূল কংগ্রেস সদস্যকে গ্রেফতার করল পুলিশ। নিহত নেতার পরিবার গোড়া থেকেই দলের অন্তর্দ্বন্দ্বে খুন হয়েছেন ইনসান আলী মাল্লিক নামের ওই নেতা বলে গোড়া থেকেই সি.আই.ডি তদন্ত চাইছিলেন ।
গত শুক্রবার রাত্রে কালনার গদারপাড পার্টি অফিস থেকে মোটর সাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় নারায়ণপুরে গুলিবিদ্ধ হন ইনসান । পরপর দুটি গুলি লাগে তার নিম্ন অঙ্গে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার পিজি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে হুগলির বেচির কাছে তার মৃত্যু হয়।
ইনসানের মতো জনপ্রিয় নেতার মৃত্যুর পর কালনা , বুলবুলিতলা, বোহার এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। গত বছরও ইনসানকে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল। পরিবারের দাবি করে, মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ঘনিষ্ঠ রাজকুমার পান্ডেই ইনসানের হত্যার নেপথ্যে মূল কারিগর। মন্ত্রীকে এ নিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়।
বৃহস্পতিবার কালনা পুলিশের কাছে এক সূত্র মারফত খবর আছে দুই যুবক দুটি ব্যাগে নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ কোডাইন নিয়ে ভাগিরথি ফেরিঘাটের দিকে মোটরবাইক নিয়ে যাচ্ছে। ওত পেতে থাকা পুলিশের একটি দল দু’জনকেই আটক করে। তাদের কাছে ৩০০০ গ্রাম তরল কোডাইন সিরাপ মিলে। জেরার সময় জানা যায় তাদের একজন অশোক ক্ষেত্রপাল ও অপরজন জামিউল শেখ । দু’জনকেই পুলিশ ইনসান মল্লিক হত্যা মামলায় খুঁজছিল। দুজনেই মাদক পাচারে ধরা পড়ার পর বর্ধমান থেকে বরিষ্ঠ পুলিশকর্তারা কালনায় ছুটে যান। অশোক জেরার মুখে কবুল করে সে ইনসানকে হত্যা করে জামিউলের নির্দেশেই। হত্যা করার পর পিস্তলটি ও সে ঐ জামিউল কেই ফেরত দেয় ঘটনার দিনই। সে শুধু সুপারি কিলারের কাজ করেছে।