সংবাদদাতা, বাঁকুড়া:- নাম না করে এ রাজ্যের রাজ্যপালকে পাগল বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জী। আজ বাঁকুড়ার হিন্দু হাইস্কুল থেকে মাচানতলা পর্যন্ত তৃনমুলের এনআরসি ও সিএএ বিরোধী তৃনমুলের মিছিলে হুডখোলা গাড়িতে যোগ দেন সুব্রত মুখার্জী। মিছিল শেষে মাচানতলায় আকাশ মুক্ত মঞ্চে তৃনমুলের প্রতিবাদ সভায় যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখেন সুব্রত মুখার্জী। সেখানেই তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিব্রত করার জন্য একটা পাগল পাগল পাঠিয়ে দিয়েছেন। সেই পাগলের নাম রাজভবন। রাজ্যপালের নাম না করে সুব্রত বাবু বলেন, আমি তার নাম উচ্চারণ করতে চাই না। কারন তাঁর নাম করলে এখনও দিনের আলো আছে।তার নাম উচ্চারণ করলে অন্ধকার নেমে আসবে। তাকে মমতা ব্যানার্জির পিছনে লাগিয়ে দিয়েছে। মমতা ব্যানার্জিকে বিরক্ত করো। আইনে নয় বেআইনে। তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয় নেমন্তন্ন না করলেও তিনি সেখানে গিয়ে হাজির হয়ে যাচ্ছেন। এদিন এন আর সি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অসভ্য বলেছেন সুব্রত মুখার্জী। তিনি বলেন, ওই দুজনেরই আঙুল উঁচিয়ে সবসময় লোককে শাসানি দেওয়ার অসভ্য অভ্যাস আছে। তাঁদের শাসানির কেউ ধার ধারে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুবেলা বলছে সরকার ফেলে দেবে। আমি বলছি হিম্মত থাকলে কালকেই সরকার ফেলে দিন। আমরা হিসেব বুঝে নেব কত ধানে কত চাল।
ঝাড়খণ্ডের হার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন ঝাড়খন্ডে মোদির ঘন্টা বেজে গেছে। কে আওয়াজ শুনতে পাচ্ছেন আর কে পাচ্ছেন না আমি জানিনা। কিন্তু আমরা পাচ্ছি। ঢং ঢং ঢং। মোদি যাও। আজকে সেই ঘন্টা বেজে গেছে।
এনআরসি বিল পাস প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, যেদিন পার্লামেন্টে বিল এনআরসি বিল পাস হলো সেদিন একটা পরিচিত লোক ভোট দেয়নি। তার নাম নরেন্দ্র মোদি। যার প্রধানমন্ত্রীত্বে এই আইন পাস হলো কেন তিনি ভোট দেননি। তার মানে তার বিরোধিতা সত্ত্বেও অমিত শাহ এর প্রবর্তন করেছে।
ছাড়াও পেঁয়াজের আকাশছোঁয়া দাম বৃদ্ধি। ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়েও চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন কেন্দ্রীয় সরকারকে।