সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ- বাঁকুড়ার ছাতনা থানা ভিলানি গ্রামের কৃষ্ণা বাউরী বিয়ে হয়েছিল বছর দেড়েক আগে গঙ্গাজলঘাটি থানার দেউলী গ্রামের জয়দেব বাউরী সঙ্গে। জয়দেব বাউরী পেশায় গাড়ি চালক, অভিযোগ প্রায়শই মদ্যপ অবস্থায় কৃষ্ণা বাউরী কে মারধর করত। বিয়ের পর থেকে প্রায়ই এই ঝামেলা করতো, শ্বশুরবাড়ির লোক এ কথা বাপের বাড়ি কে জানাই কৃষ্ণা বাউরী। এই নিয়ে সংসারে অশান্তি লেগেই থাকতো গতকাল কৃষ্ণ বাউরী তার কাকার বাড়ি গঙ্গাজলঘাটি থানার আমডাঙ্গা আসে, সেখানেও তার স্বামী এসে তাকে মদ্যপ অবস্থায় মারধর করে বলে অভিযোগ। তারপরে রাতে কৃষ্ণকে পাওয়া না গেলে তার কাকা খোঁজাখুঁজি করে এবং ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে বাড়ির ভেতরে দেখতে পায়। এরপরে গঙ্গাজলঘাটি থানায় খবর দেয়া হলে গঙ্গাজলঘাটি থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। কৃষ্ণা বাউরির বাড়ির থেকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় গঙ্গাজলঘাটি থানায় তারপরে গঙ্গাজলঘাটি থানার পুলিশ জয়দেব বাউরীএবং তার বাবাকে গ্রেফতার করে। দীর্ঘদিন অত্যাচার করার কারণে এই মৃত্যু বলে মনে করছে কৃষ্ণার বাড়ির লোক। এই মর্মে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।