অনন্যা রায়, পুরুলিয়াঃ- সব্জি বেচে, ধান কিনে, অঙ্গঁনওয়াড়ীতে লাড্ডু, কেক সরবরাহ করে দেশের সেরা ৪০ টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মধ্যে জায়গা করে নিল মহিলা পরিচালিত একটি গোষ্ঠী। ‘লাই ভলি হুড মিশন’ প্রকল্পে ঠাঁই মিলল পুরুলিয়ার পাড়া ব্লকের ওই গোষ্ঠীর। ৭ মার্চ দিল্লিতে পুরুলিয়ার গোষ্ঠীটি কে সন্মানিত করবে সরকার।
এখানকার পাড়া ব্লকে ২০০৮ সালে পথ চলা শুরু আনন্দময়ী মহিলা স্বনির্ভর সঙ্ঘের। এর অধীনে ১৪ সংসদ জড়ে ২৫১ টি স্বনির্ভর দল আছে। ইতিমধ্যেই ওই স্বনির্ভর দল গুলির লেনদেন ৩ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। আনন্দময়ী সঙ্ঘ বিভিন্ন স্বনির্ভর দলের কাছ থেকে জৈব সাড়ে উৎপাদিত সব্জি কিনে বিভিন্ন অঙ্গঁনওয়াড়ী কেন্দ্রে সরবরাহ করে। আবার চাষীদের কাছ থেকে ১৮১৫ টাকা ক্যুইন্টাল দরে ধান কিনে রাইস মিলে বিক্রী করে। সঙ্ঘের চার প্রধান কারগর-সুলতানা খাতুন, অষ্টমী বাউড়ি, সন্ধ্যা কুইরি, নূরজাহান খাতুন। সারাটা বছর এরা নিরলস কাজ করে যান প্রতিষ্ঠানের জন্য। সুলতানার বক্তব্য, “ধান, সব্জি ই নয়, পৌষ্টিক লাড্ডু, কেক, কাগজের কলম এ সবই আমাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মেয়েরা তৈরী করে। এ সব করার জন্য স্বনির্ভর দল গুলি কে ব্যঙ্ক ঋন পাওয়ানোর কাজও আমরা করি”। সন্ধ্যা কুইরি বলেন, “মাশরুম চাষে ও আমাদের অধীন কিছু গোষ্ঠী ভাল সাড়া পাচ্ছে”।
সারা দেশের সেরা ৪০ টি স্বনির্ভর সঙ্ঘের ভেতর ঠাঁই মেলায় পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনও কুর্নিশ জানিয়েছে পাড়া’র মহিলাদের। পুরুলিয়ার জেলা শাসক রাহুল মজুমদার বললেন, “আমার জেলার একটি স্বনির্ভর সঙ্ঘ দিল্লিতে সন্মান পেতে চলেছে, এটা ভীষন গর্বের। তাদের সাফল্য উৎসাহিত করবে অন্য এরকম সংগঠনগুলিকেও”। গোটা জেলায় ৩৩,০০০ স্বনির্ভর দল কাজ করছে।
আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আগের দিন, দিল্লির প্লেনারি হলে আনন্দময়ী স্বনির্ভর সঙ্ঘ সন্মানিত হবে। পুরুলিয়ার মহিলা সঙ্ঘ টির পাশাপাশি দার্জিলিং এর খড়িবাড়ি ও মিরিকের দুটি আলাদা স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও দিল্লিতে ওই দিন সন্মানিত হবে।