সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ- বিজেপি বিধায়ককে নবান্ন অভিযানে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে পাত্রসায়ের থানায় বিক্ষোভে সরব হলেন বিধায়ক দিবাকর ঘারমী ও বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। জানা গেছে এদিন নবান্ন অভিযানে যোগ দেওয়ার জন্য নিজের গাড়িতে করে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন সোনামুখীর বিজেপি বিধায়াক দিবাকর ঘারামী। অভিযোগ রসুলপুরে তার গাড়ি আটকে দেয় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এবং তাকে কলকাতায় যেতে বাধা দেওয়া হয় । অভিযোগ পাত্রসায়ের থানার ওসিকে ফোন করেও তার সাহায্য পাননি বিধায়ক। অবশেষে পাত্রসায়ের থানায় গিয়ে অবস্থান-বিক্ষোভ করেন বিধায়ক । যদিও কিছু সময় পর পাত্রসায়ের থানার ওসির হস্তক্ষেপে অবস্থান বিক্ষোভ তুলে দেন বিধায়ক এবং কলকাতার উদ্দেশ্যে আবারো তিনি রওনা দেন।
এছাড়াও এদিন সকালে সোনামুখী স্টেশনেও বিধায়ক দিবাকর ঘারমীর নেতৃত্বে একটি মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। আটক করা হয় ২৫জন বিজেপি কর্মী সমর্থককে। প্রতিবাদে সোনামুখী থানায়ও বেশ কিছুক্ষণ বিধায়কের নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। যদিও কিছুক্ষণ পর বিজেপি কর্মীদের ব্যক্তিগত বন্ডে ছেড়ে দেওয়া হয় ।
মঙ্গলবারের পাশাপাশি সোমবার রাতেও বিজেপি কর্মীদের নবান্ন অভিযানে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। জানা গেছে রাজ্যের অন্যান্য অংশের মতো এদিন রাতে বাঁকুড়া থেকেও ঝাঁটিপাহাড়ি স্টেশান থেকে ট্রেনে করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা নবান্ন অভিযানের জন্য কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ওই ট্রেন ধরার জন্য এদিন রাতে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা বাঁকুড়া স্টেশনে পৌঁছালে পুলিশ বাধা দেয়। এমনকি স্টেশন চত্বরে তাদের দলীয় ক্যাম্পও পুলিশ সরিয়ে ফেলে ও ক্যাম্পের চেয়ার-টেবিল-মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা ও দলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল। পুলিশের অতিসক্রিয়াতার অভিযোগ তুলে রাতেই স্টেশন মোড়ে পথ অবরোধ করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।