সংবাদদাতা,আসানসোলঃ- এবার আসানসোলের কুলটির তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা এক অভিনব উপায়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করলেন। শুক্রবার কুলটি ব্লকের নিয়ামতপুর বাজারে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বিশ্বজিৎ চ্যাটার্জির নেতৃত্বে একদল তৃণমূল কর্মী ‘ডোন্ট টাচ মাই বডি আই অ্যাম মেল’ লেখা গেঞ্জি পরে বাজার ঘুরলেন ও বাজার করলেন।
কেন এই অদ্ভুত আচরণ? প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূল নেতা বলেন করোনা আবহে পুজোর বাজারে ভিড়, ধাক্কাধাক্কি ঠেসাঠেসি করে না ঘোরাই ভালো। তাই লোককে সাবধান করতে এমন গেঞ্জি পরা হয়েছে। যার অনুপ্রেরণা তারা বিরোধী দলনেতার কাছ থেকে পেয়েছেন। কারণ নবান্ন অভিযানের সময় তিনি চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে বলেছেন আই অ্যাম মেল। তাই তাকে ছুঁতে বারণ করেছেন। এরপরই শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ওনার যদি নিজের পরিচিয় নিয়ে কোনও সন্দেহ থাকে তাহলে নিজের বুকে লিখে ঘুরুন যে তিনি মেল না ফিমেল। অত চেঁচামেচির কি দরকার।
প্রসঙ্গত গত ১৩ তারিখ বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে কার্যত ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় রাজ্যে। অভিযানের শুরুতেই শুভেন্দু অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্যায়, রাহুল সিনহাদের দ্বিতীয় হুগলি সেতুর মুখেই আটকে দেয় পুলিশ। প্রতিবাদে সরব হন বিরোধী নেতারা। এমন পরিস্থিতিতে এক মহিলা পুলিশ কর্মী শুভেন্দু অধিকারীকে আটক করতে গেলে তিনি ‘ডোন্ট টাচ মাই বডি’ বলে চিৎকার করতে থাকেন। বলেন আপনি একজন লেডি হয়ে আমাকে ছোঁবেন না। পুলিশকর্তাদের ডাকতে বলেন শুভেন্দু। এরপর ডিসি সাউথ আকাশ মেঘারিয়া ঘটনাস্থলে পৌঁছলে শুভেন্দু তাঁকে বলেন, “আপনার লেডি পুলিশ আমার গায়ে হাত দিচ্ছেন কেন?” মেঘারিয়া পাল্টা বলেন, “পুলিশ তো পুলিশই! তার আবার মহিলা-পুরুষ কী!” এর পরেও শুভেন্দু ইংরেজিতে বলতে থাকেন, “ডোন্ট টাচ মাই বডি! আই অ্যাম মেল! জেন্টস পুলিশ ডাকুন।”
এরপরই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। বিজেপির দাবি করে, শুভেন্দু অধিকারীকে শ্লীলতাহানির মামলায় ফাঁসানোর ছক কষেছিল কলকাতা পুলিশ। অন্য দিকে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেন বিরোধী দল নেতাকে। তিনি বলেন, “এ তো সপ্তপদী।” প্রসঙ্গত, জনপ্রিয় বাংলা চলচ্চিত্র ‘সপ্তপদী’-তে সুচিত্রা সেন নায়ক উত্তমকুমারের উদ্দেশে সংলাপে বলেছিলেন, “ও যেন আমায় টাচ না করে!”