এই বাংলায় ওয়েব ডেস্কঃ– আমেরিকার স্কুলে বন্দুকবাজের হামলার ঘটনার পর এবার থাইল্যান্ডে বন্দুকবাজের হামলায় মৃত্যু হল ২২ জন শিশু সহ কমপক্ষে ৩৪ জনের। জখম হয়েছেন আরও অনেকে। ফলে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের উত্তরপূর্ব প্রদশে একটি প্রি স্কুল চাইল্ড ডে কেয়ার সেন্টারে হামলা চালায় প্রাক্তন এক পুলিশ আধিকারিক। গণহত্যার পর আত্মঘাতী হয়েছে ওই বন্দুকবাজও।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন ওই বন্দুকবাজ প্রথমে হমালা চালায় চাইল্ড ডে কেয়ার সেন্টারের কর্মী আধিকারিকদের উপর। সেই সময় আট মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা এক শিক্ষিকার মৃত্যু হয়। এর পর ওই বন্দুকবাজ সেন্টারের যে রুমে শিশুরা ঘুমাচ্ছিল সেখানে ঢুকে ধারাল অস্ত্র নিয়ে শিশুদের উপর হামলা চালায়।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ফুটেজ পোস্ট করা হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে ডে কেয়ার সেন্টারের মৃত শিশু ও কর্মীদের দেহ রক্তে ভেসে যাচ্ছে। যদিও ওই ভিডিওর সত্যতা যাছাই করা হয়নি বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে বারোটার সময় যখন ঘটনাটি ঘটে তখন ওই চাইল্ড ডে কেয়ার সেন্টারে ৩০ জনের মতো শিশু উপস্থিত ছিল। জানা গেছে এদিন ভারী বৃষ্টির জন্য ডে কেয়ার সেন্টারে শিশুর সংখ্যা অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক কম ছিল। অন্যদিকে স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ওই বন্দুকবাজ প্রাক্তন পুলিশ কর্মীকে বছর খানেক আগে ড্রাগস সেবন জনিত কারণে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তবে কী কারণে এই হামলা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। হামলার ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। গোটা এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
থাইল্যান্ডে গণহত্যার ঘটনা খুবই বিরল। তবে ২০২০ সালে এক সেনা জওয়ানের এলোপাথাড়ি গুলিতে ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল সে দেশে। জখম হয়েছিল ৫৭ জন। বৃহস্পতিবারের ঘটনা সেই মর্মান্তিক ঘটনার স্মৃতি ফিরিয়ে আনল বলে মনে করছেন অনেকেই।