নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– দুর্গাপুর মহকুমার কাঁকসা ব্লকের গোপালপুর গ্রামে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল। সংঘর্ষে গুরুতর জখম তিন। আহতরা সকলেই দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে রয়েছেন কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য রুমেন্দ্রনাথ মণ্ডল।
ঘটনার সূত্রপাত গোপালপুর গ্রামের উত্তরপাড়াতে একটি দোকান ঘর নিয়ে। কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ তথা পঞ্চায়েত সমিতির বর্তমান সদস্য রমেন্দ্রনাথ মণ্ডলের দাবি ওই দোকানঘর করার জন্য পঞ্চায়েত সমিতির অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। সেইমতো বৃহস্পতিবার ওই দোকানঘরের চাতাল সিমেন্টিং করার কাজ চলছিল। এরই মধ্যে দোকানের কাজ চলাকালীন তৃণমূলের ঝান্ডাধারী কিছু দুষ্কৃতী যারা বর্তমান কাঁকসা ব্লক সভাপতি ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্যের অনুগামী হিসেবে পরিচিত, হঠাৎ তার উপর চড়াও হয় ও তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি দেওয়ার পাশাপাশি মারধর করে। তাদের অভিযোগ তাদের সঙ্গে আলোচনা না করে কেন ওই দোকানের কাজ করার অনুমতি দেওয়া হল।
অন্যদিকে মাথায় আঘাত নিয়ে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তৃণমূল কর্মী সুরজ বিশ্বাস। তিনি ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্যের অনুগামী বলে দাবি। তার পাল্টা অভিযোগ, বিভিন্ন অবৈধ কারবার থেকে কাটমানি নেন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য রমেন্দ্রনাথ মণ্ডল। তারা প্রতিবাদ করায় রমেন্দ্রনাথ মণ্ডলের অনুমগামীরা তার উপর চড়াও হয় ও তাকে মারধর করে।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য রমেন্দ্রনাথ মণ্ডল ও আহত তৃণমূল কর্মী সুরজ বিশ্বাস দুজনেই কাঁকসা ব্লকের প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দেবদাস বক্সীর অনুগামী হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে গোটা ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে কাঁকসা ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে এসেছে । বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো অস্বস্তিতে কাঁকসা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব কি করে এই পরিস্থিতি সামাল দেয় এখন সেটাই দেখার।