নিকিতা মুখার্জ্জী,দুর্গাপুরঃ- যেকোনো মনীষীর জন্মদিন পালনে, এমনকি জাতির জীবনে ও স্থানীয়ভাবে বিশেষ বিশেষ দিনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনে, পশ্চিম বর্ধমানের যেসব সংস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে তাদের মধ্যে সবচেয়ে আগে থাকবে ‘আন্তরিক’ সাহিত্য পত্রিকা গোষ্ঠীর নাম। প্রতিটি ক্ষেত্রেই তাদের ভূমিকা এলাকাবাসীর প্রশংসা আদায় করে নিয়েছে। স্বামী বিবেকানন্দের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ঘটলনা।
সংশ্লিষ্ট পত্রিকা গোষ্ঠীর উদ্যোগে গত ১২ ই জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের ১৬১ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে শিশুদের অঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দুর্গাপুরের বিধাননগরের অরভিল পার্কে আয়োজিত হয় দুর্গাপুর ‘বিবেক উৎসব’। এবার বিবেক উৎসব চতুর্থ বর্ষে পদার্পণ করল।
প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন মঞ্চে উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। এরপর স্বামীজীর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন এলাকার বহু ব্যক্তি।
শুরু হয় শিশুদের অঙ্কন প্রতিযোগিতা। জেলার প্রায় পঞ্চাশজন শিশু এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠানের শেষে উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে উপহার তুলে দেন। উৎসাহ দেওয়ার জন্য উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে অংশগ্রহণকারী সকল শিশুর হাতে তুলে দেওয়া হয় বিশেষ উপহার।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিল্পীরা সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন। প্রায় পাঁচ ঘন্টা ব্যাপী চলা অনুষ্ঠানটি উপস্থিত শতাধিক এলাকাবাসীর কাছে উপভোগ্য হয়ে ওঠে।
উৎসব মঞ্চ থেকে উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে স্বামীজির জীবন, বাণী ও আদর্শ তুলে ধরে শিশুদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্হিত ছিলেন শিক্ষাবিদ বিমল রায়, অশোক সিংহরায়, সাহিত্যিক কালীপ্রসাদ দত্ত, শিবদাস রুদ্র, তরুণ সাহা, দুরদর্শন শিল্পী সুনীল কুমার মেহেতা, চন্দ্রা পাঁজা, অর্চনা সিংহরায়, জয়া মোদক, পাঁচুগোপাল ব্যানার্জ্জী, পাপিয়া ভট্টাচার্য, রণজিৎ কুমার সিং, দীপ্তেন্দু বিকাশ কর সহ পশ্চিম বর্ধমানের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত বেশ কয়েকজন সুপরিচিত কবি-সাহিত্যিক, শিল্পী এবং আনন্দ লহরীর সদস্যরা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রত্যেকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদিকা অন্তরা সিংহরায় বলেন – স্বামী বিবেকানন্দ শুধু যুব সমাজের নয় তাঁর বাণী ও আদর্শ প্রতিটি মানুষের প্রেরণার প্রতীক। একের পর এক তাঁর বাণী তুলে ধরে তিনি পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত এবং বিবেক উৎসবে উপস্থিত প্রত্যেকের মনে জাতীয়তাবাদ ও দেশপ্রেম জাগ্রত করার চেষ্টা করেন।