নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- কাঁকসায় সরকারি সোলার সাবমার্সিবল বসানো নিয়ে প্রকাশ্যে চলে এল শাসক দল তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। কাঁকসার মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের আকন্দারা এলাকার ঘটনা। সেখানে প্রধান এবং অঞ্চল সভাপতির দ্বন্দ্বে আঁটকে গেল সরকারি সোলার সাবমার্সিবল বসানোর কাজ। আর এই ঘটনা সামনে আসতেই বিড়ম্বনায় পড়েছে ঘাসফুল শিবির। অন্যদিকে কাটমানির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে পদ্ম শিবির।
সম্প্রতি কৃষিকাজে সেচের সুবিধার জন্য মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের আকন্দারা এলাকায় সোলার চালিত সাবমার্সিবল বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পঞ্চায়েত থেকে বরাতও দেওয়া হয়। প্রায় ৩লক্ষ ৫০হাজার টাকা ব্যায় করে শুক্রবার সোলার সাবমার্সিবল বসানোর কাজ শুরু হয়। কিন্তু প্রধানের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে কাজ আটকে দেয় সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি জহিরুল মিদ্যা। তাঁর অভিযোগ কাজের টেন্ডার ওই এলাকায় দীঘির বাঁধ এলাকায় হলেও প্রধান নিজের জমির সামনে ঠিকাদারকে দিয়ে ওই সাবমার্সিবল বসানোর কাজ শুরু করেছেন। এর ফলে বঞ্চিত হবেন এলাকার সাধারণ চাষীরা।
অন্যদিকে মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান পীযুষ মুখার্জী অভিযোগ করেছেন ঠিকাদারের কাছে টাকা চাইছে মলানদিঘি অঞ্চলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি জহিরুল মিদ্যা এবং সরকারি কাজে বাঁধা দিচ্ছে। প্রধানের দাবি দীঘির বাঁধ এলাকাতেই সাবমার্সিবল বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে এই দ্বন্দ্বের মাঝে পরে আটকে গেছে সরকারি প্রকল্পের কাজ। বিপাকের মুখে পড়েছেন এলাকার চাষীরা। অন্যদিকে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের ঘটনা সামনে আসতেই সুর চড়িয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। কাঁকসা ব্লকের বিজেপি সাধারণ সম্পদক ভোগীরথ ঘোষ বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করে বলেন, তৃণমূলের ভাগবাটোয়ারার দ্বন্দ্বে বিপাকে পড়তে হচ্ছে এলাকার চাষীদের। কাটমানি আর গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এলাকায় থমকে রয়েছে উন্নয়ন। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ এর জবাব দেবে।