নীহারিকা মুখার্জ্জী,কলকাতাঃ- কলকাতা বইমেলা মানেই সাজো সাজো রব। অনেকেই বলেন দুর্গোৎসবের মতই পুস্তক প্রেমীরা অপেক্ষা করেন কলকাতা বইমেলার জন্য। বিভিন্ন স্টলে ভিড় উপচে পড়ে। পরিচিত প্রবীণদের সঙ্গে সঙ্গে নবীন প্রতিভাদের বই প্রকাশিত হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটলনা।
গত ৩ রা ফেব্রুয়ারি বালির দুই গৃহবধূ সোমা দাস দেবনাথ ও তনুশ্রী চক্রবর্তীর কলমে ফুটে ওঠা সাঁইত্রিশটি কবিতা ও পাঁচটি গল্প সমৃদ্ধ ‘বিকশিত বিয়াল্লিশের কথা’ এই প্রথমবারের জন্য প্রকাশিত হলো কলকাতার বইমেলায়। এর মধ্যে ছাব্বিশটি কবিতা একটি গল্প লিখেছেন সোমা দেবী এবং এগারোটি কবিতা ও চারটি গল্প লিখেছেন তনুশ্রী দেবী। রবিশংকর তালধি সম্পাদিত চৌষট্টি পাতার বইটিতে নারীদের কথা ফুটে উঠেছে কবিতাগুলিতে। তবে প্রতিটি কবিতাই ভিন্ন স্বাদের। একইসঙ্গে ধরা পড়েছে বাস্তবের চিত্র। পড়লেই পাঠক মুগ্ধ হবেন।
দুই লেখিকা ও সম্পাদক ছাড়াও বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেশ কয়েকজন পুস্তক প্রেমী মানুষ। বেশ কয়েকজন পাঠককে বইটি কিনতেও দ্যাখা যায়।
সোমা ও তনুশ্রী – সংসারের কাজের ফাঁকে দু’জনেই দীর্ঘদিন ধরেই লেখালেখি করেন। সমাজ মাধ্যমে সেগুলো দিনের আলোর মুখও দ্যাখে এবং পাঠক সমাজে প্রশংসিতও হয়। কিন্তু বই প্রকাশের কথা কখনও মাথায় আসেনি। জনৈক সাংবাদিকের সহযোগিতায় পোর্টাল ও সাপ্তাহিক কাগজে তাদের কবিতা প্রকাশিত হওয়ার পরই তারা বই প্রকাশ করার বিষয়ে উৎসাহ পায়। তারই ফলশ্রুতি – ‘বিকশিত বিয়াল্লিশের কথা’।
সোমা দেবী বললেন – প্রথমেই প্রণাম জানাই সেই সাংবাদিক দাদাকে যিনি দূরে থেকেও সমানে উৎসাহ দিয়ে গ্যাছেন। কৃতজ্ঞতা জানাই প্রকাশনা সংস্থার কর্ণধারকে। এরা না থাকলে কোনোদিনই বই প্রকাশ করা সম্ভব হতোনা। যাদের জন্য কবিতা লেখা সেই পাঠককুলের ভাল লাগলে পরিশ্রম সার্থক হয়েছে মনে করব। একই সুর শোনা গ্যালো তনুশ্রী দেবীর কণ্ঠে। তার বক্তব্য – সাংসারিক কাজ সেরে লেখার চেষ্টা করি। পরিবারের সদস্যরা এক্ষেত্রে পাশে থাকেন বলে লেখা সম্ভব হয়।