জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,গুসকরাঃ– পরীক্ষা মানেই একটা মানসিক চাপ। সেই পরীক্ষাটা আবার নিজের দীর্ঘদিনের পরিচিত পরিবেশের গণ্ডি পেরিয়ে অন্য বিদ্যালয়ে হলে চাপটা একটু বেশিই হয়। তার উপর জীবনের প্রথম সবচেয়ে বড় পরীক্ষা মাধ্যমিক। স্বাভাবিকভাবেই পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে সঙ্গে তাদের অভিভাবকদের মনে একটা চাপা টেনশন থাকে। তারা খোঁজে চেনা মুখ।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। কার্যত করোনা পরবর্তীকালে সমস্ত ভীতি দূর করে এটাই ছিল প্রথম মাধ্যমিক পরীক্ষা। বিভিন্ন কারণে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অন্যান্যবারের তুলনায় কিছুটা কম হলেও যারা দিচ্ছে তাদের সংখ্যাটাও খুব একটা কম নয়। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের সঙ্গে গুসকরা পিপিইনস্টিটিউশনে প্রায় আড়াই শতাধিক পরীক্ষার্থীর সেণ্টার পড়েছে। তাদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য পানীয় জলের বোতল ও কলম নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ালো গুসকরা শহর তৃণমূল কংগ্রেস ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা এবং শুভেচ্ছা জানিয়ে একে একে তাদের হাতে সেগুলি তুলে দেওয়া হয়।
তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন আউসগ্রাম ১ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সহ সভাপতি তথা শিক্ষক সফিউল আলম মণ্ডল, শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি দেবব্রত শ্যাম, যুব সভাপতি কার্তিক পাঁজা, টিএমসিপির শহর সভাপতি সৌম্যদীপ চ্যাটার্জ্জী, স্হানীয় একটি ক্লাবের পক্ষ থেকে সঞ্জীব গোস্বামী, প্রণব মিশ্র, কামরুজ্জামান, রাহুল ঘোষ, রাম বিশ্বাস, অগ্রদীপ প্রামাণিক সহ অন্যান্যরা এবং পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বেলি বেগম ও চেয়ারম্যান কুশল মুখার্জ্জী।
সফিউল সাহেব বললেন – যেকোনো স্তরের পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীরা যে কলম বা জলের বোতল নিয়ে আসে সেটা আমরা প্রত্যেকেই জানি। সুতরাং ওগুলো দেওয়ার জন্য নয় আজ আমরা এসেছি ঐ বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েদের উৎসাহ দিতে। তাছাড়া আমাদের অনেকের আত্মীয়ের ছেলেমেয়েরা পরীক্ষা দিচ্ছে। তাদের পাশেও আমরা থাকলাম।
অন্যদিকে কুশল বাবু বললেন – পুরসভার চেয়ারম্যান হিসাবে নয় একজন অভিভাবক হিসাবে সন্তানসম পরীক্ষার্থীদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। তাছাড়া অপরিচিত পরিবেশে চেনা মুখ দেখলে ওরা মনের জোর পাবে। ভাল করে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য তিনি পরীক্ষার্থীদের উৎসাহ দেন।