সংবাদদাতা,আসানসোলঃ– ইসিএলের নিরাপত্তা কর্মী ও সিআইএসএফ বাহিনীর সঙ্গে গ্রামাবাসীদের খণ্ডযুদ্ধে উত্তপ্ত হয়ে উঠল সম্প্রতি চালু হওয়া জামুরিয়ার শ্রীপুর এরিয়ার অন্তর্গ নিঙ্ঘা খোলা মুখ খনি এলাকা। ঘটনায় সাত জনকে গ্রেফতার করে শ্রীপুর ফাঁড়ির পুলিশের হাতে তুলে দেয়ে সিআইএসএফ বাহিনী। অন্যদিকে এই সংঘর্ষে জখম হয়েছেন ইসিএলের একজন নিরাপত্তা কর্মী সহ তিনজন।
অভিযোগ গতকাল মাঝ রাতে কয়েকশো গ্রামবাসী হঠাৎ খনি চত্বরে হামলা চালায় ও কয়লা লুটের চেষ্টা করে। নিরাপত্তা কর্মীরা তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে দুপক্ষের মধ্যে খণ্ড যুদ্ধ বেধে যায়। এমনকি ইসিএলের বেশকিছু গাড়িও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় শ্রীপুর ফাঁড়ির পুলিশ সিআইএসএফকে খবর দেওয়া হয়। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে হামলাকারীদের হঠিয়ে দিয়ে সাত জনকে গ্রেফতার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে সিআইএসএফ বাহিনীর জওয়ানরা। কিন্তু পুলিশ ধৃতদের ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর ফের কয়েকশো গ্রামবাসী হামলা চালায় বলে অভিযোগ। রাতভর চলতে থাকে থাকে সংঘর্ষ। সিআইএসএফ ও পুলিশকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমসিম খেতে হয়। অভিযোগ হমলাকারীদের মধ্যে মহিলা ও শিশুরা থাকায় পরিস্থিতি সামাল দিতে সময় লাগে।
প্রসঙ্গত আসানসোল রানীগঞ্জ কয়লা খনি এলাকায় অবৈধ কয়লা পাচারের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। বর্তমানে এই পাচার রুখতে সক্রিয় হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ধরা পড়েছে কয়লা পাচারের বেশ কিছু মাথাও। চলছে মামলাও। তা সত্ত্বেও মাঝে মধ্যেই জাল নথির আড়ালে, খাদ্য সরবরাহকারী গাড়িতে, ইত্যাদি নানা উপায়ে কয়লা পাচারের ঘটনা প্রায়ই সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে। তবে এবার আর কয়লা পাচার নয় একবারে কয়লা লুটের চেষ্টার অভিযোগ উঠল স্থানীয় গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে।