সঙ্গীতা চ্যাটার্জী (চৌধুরী)ঃ- আজ বরুথিনী একাদশী। বৈশাখ মাসের কৃষ্ণ পক্ষের এই একাদশীর ব্রত মাহাত্ম্য ভবিষ্যোত্তর পুরাণে আছে, যুধিষ্ঠির মহারাজ শ্রীকৃষ্ণকে বৈশাখ মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশীর নাম ও মাহাত্ম্য কী জিঞ্জেস করেছিলেন? শ্রীকৃষ্ণ তখন যুধিষ্ঠিরকে বললেন, বৈশাখ মাসের কৃষ্ণ পক্ষীয়া এই একাদশী বরুথিনী একাদশী নামে বিখ্যাত। এই একাদশী পালন করলে সর্ব সুখ লাভ হয়,পাপ ক্ষয় হয় ও সৌভাগ্য প্রাপ্তি হয়। এই একাদশী ব্রত পালন করলে ভক্তি ও মুক্তি প্রাপ্ত হয়, এই ব্রত প্রভাবে সর্ব পাপ হরণ হয় এবং গর্ভবাস যন্ত্রণার থেকে মুক্তি হয়। এমনকি দেবাদিদেব মহাদেবও এই ব্রত পালন করেছিলেন। এই ব্রত পালন করলে দশ হাজার বছর তপস্যার ফল লাভ হয়। এই ব্রত পালন করলে ইহলোক ও পরলোকে সুখ লাভ হয়, সমস্ত প্রকার দান থেকে বিদ্যাদান শ্রেষ্ঠ, কিন্তু এই বরুথিনী একাদশী ব্রত পালন করলে সেই বিদ্যাদানের সমান ফল লাভ হয়। এই ব্রত পালনকারী ব্যক্তি কন্যাদানের থেকেও অধিক পূণ্য অর্জন করেন।
বরুথিনী একাদশী পালনের নিয়ম
সাত্ত্বিকভাবে ভগবানকে সর্বসময় স্মরণ করায় হলো একাদশীর মূল কাজ। যারা পারবেন তারা দশমীতে একাহার, একাদশীতে নিরাহার, ও দ্বাদশীতে একাহার করিবেন। যারা উপরিউক্ত ভাবে কঠোর নিয়ম পালনে অসমর্থন, তারা শুধুমাত্র একাদশীতে অনাহার রাখবেন যারা অনাহারেও অসমর্থ তারা একাদশীতে পঞ্চ রবিশস্য বর্জন করে, ফল মূলাদি,মিষ্টি, অনুকল্প প্রসাদ গ্রহণ করবেন। ময়দা বা লুচি খেলে একাদশী পালন হয় না। একাদশীতে গোল আলু , মিষ্টি আলু , চাল কুমড়ো , পেঁপে , টমেটো, , ফুলকপি ইত্যাদি আনাজ ঘি অথবা সাদা তেল দিয়ে রান্না করে ভগবানকে নিবেদন করে খেতে পারেন। খাবারে হলুদ, মরিচ, ও লবণ দিতে পারেন, এছাড়া দুধ ,কলা , আপেল , আঙ্গুর, আনারস, আখঁ, আমড়া শস্য, তরমুজ, বেল, নারিকেল, মিষ্টি আলু , বাদাম ও লেবুর শরবত ইত্যাদিও একাদশীর দিন গ্রহণ করতে পারেন। তবে চাল, মুড়ি ,চিড়া ,সুজি, খিচুড়ি, লুচি ,পরোটা ইত্যাদি খেয়ে একাদশী পালন হয় না।