সংবাদদাতা,বাঁকুড়া:– রাষ্ট্রীয় পিছড়া বর্গ (ওবিসি) মোর্চার ডাকা ভারত বনধে পরিবহন ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব পড়লো বাঁকুড়ার জঙ্গল মহলে। ওবিসিদের জাতি ভিত্তিক জনগণনার সহ একাধিক দাবিতে এই বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। বনধের জেরে এদিন জঙ্গল মহলগামী কোনো বেসরকারি যানবাহন রাস্তায় নামেনি। ফলে রবিবার ছুটির দিনে চরম সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ।
এদিন সকালে বাঁকুড়া গোবিন্দনগর বাসস্ট্যাণ্ডে দেখা যায় সার সার দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে বেসরকারী বাস। জেলার জঙ্গল মহলগামী কোনো বাস এদিন রাস্তায় না নামলেও দুর্গাপুর ও বিষ্ণুপুরগামী একাধিক বাস চলাচল করছে । সম্পূর্ণ রেল পরিষেবা বিহীন জঙ্গলমহলের বিস্তীর্ণ অংশের মানুষের এখনো যোগাযোগের অন্যতম ভরসা বেসরকারী বাস। আর সেই বাস বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়তে জঙ্গলমহলের বাসিন্দা ও সেখানে যাতায়াতকারী মানুষজনকে।
অন্যদিকে এদিনের বনধে জেরে শুধু যাত্রীরাই নয়, চরম সমস্যায় পড়েছেন বেসরকারী বাস কর্মীরাও। ‘নো ওয়ার্ক নো পে’ নিয়মে কাজ করা বাস কর্মীরা চরম আর্থিক সমস্যায় পড়বেন বলেই জানিয়েছেন।
বাস শ্রমিক সমীর বাদ্যকর, গুলমন খাঁরা বনধের কারণে জঙ্গল মহল রুটের কোন বাস চলেনি। শুধু যাত্রীরা নয়, এভাবে প্রায়শই বনধে তাদের মতো সাধারণ বাস কর্মীরাও সমস্যায় পড়ছেন বলে তারা জানান। এক বাস যাত্রী শুকদেব হেমব্রম বলেন, বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রোগী ভর্তি আছে। আজই ছুটি হওয়ার কথা। বনধের কারণে জঙ্গল মহলগামী বাস বন্ধ থাকায় বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজতে হবে বলে তিনি জানান। বনধের জেরে সম্যসার সম্মুখীন হতে হয় কলেজ পড়ুয়াদেরও। সেরকমই এক কলেজ ছাত্রী বাঁকুড়ার সিমলাপালের বাসিন্দা মেঘা বাঁকুড়া শহরের মেসে থেকে পড়াশোনা করে। সে জানায় বনধের খবর আগে না পাওয়ায় সকালে বাড়ি যাওয়ার জন্য বাসস্ট্যান্ডে এসেছিলেন। কিন্তু বাস না চলায় বাড়ি যেতে পারেননি।
বনধের প্রভাব পড়েছে বাঁকুড়ার খাতড়া শহরেও। সকাল থেকেই শুনশান রাস্তাঘাট। বাস চলাচলও বন্ধ। আশিংক দোকান বাজার খোলা রয়েছে। বনধের সমর্থণে এদিন বাঁকুড়ার গোবিন্দ নগর বাসস্ট্যাণ্ডে একাধিক পোষ্টার দেখা যায়। ফলে ‘আতঙ্কিত’ বাস মালিকরা রাস্তায় বাস নামাতে সাহস পাননি।