জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,গুসকরাঃ- একটা সময় মোটামুটি মে মাসে শুরু হতো থাকত সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত। এখন তো প্রায় সারাবছর ধরে ডেঙ্গু তার রাজত্ব করে যাচ্ছে। তাদের আঘাতে ঝরে যাচ্ছে বহু অমূল্য প্রাণ।
বিশেষজ্ঞদের মতে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা হয়তো সম্পূর্ণ নির্মূল করা যাবেনা কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কার্যকর কোনও কর্মসূচি না নিলে আগষ্ট মাসের মধ্যে ভয়াবহ বিপর্যয় আসতে পারে। পরিস্থিতি চলে যাবে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে। রুগীর ভিড়ে উপচে পড়বে হাসপাতালের বেড। শুরু হবে হাহাকার।
বিশেষজ্ঞদের মতে- প্রথমেই ডেঙ্গুর হটস্পটগুলো চিহ্নিত করে সেখানে এডিস মশার লার্ভা মেরে ফেলার জন্য স্প্রে করতে করতে হবে। উড়ন্ত মশাগুলোকে মেরে ফেলার জন্য ফগিং করতে হবে ৷
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে ১ লা আগষ্ট ১৬ জন কাউন্সিলের নেতৃত্বে একযোগে গুসকরা পুরসভার ১৬ টি ওয়ার্ডে চলল মশক নিধন কর্মসূচি। প্রত্যেকেই নিজ নিজ এলাকার হটস্পটগুলো চিহ্নিত করে মশক নিধনের জন্য স্প্রে করে। প্রত্যেক ওয়ার্ডে হাজির হন চেয়ারম্যান। জানা যাচ্ছে আগামী কয়েকদিন এই কর্মসূচি চলবে।
পুরসভার স্বাস্থ্য দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক চন্দন যশ বললেন – শুধু স্প্রে করলে হবেনা খেয়াল রাখতে হবে বাড়ির কোথাও যেন জল জমা না থাকে। জমা জল হলো মশার আঁতুর ঘর। এবিষয়ে আমরা পুরবাসীদের সচেতন করেছি এবং শোয়ার সময় মশারি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছি।
অন্যদিকে পুরসভার চেয়ারম্যান কুশল মুখার্জ্জী বললেন – Prevention is better than cure নীতি মেনে আমরা এই কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। ভূমিপুত্র হিসাবে আমরা সমস্যা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। তিনি আরও বললেন – এটি একটি ধারাবাহিক কর্মসূচি। এবার আমরা প্রতিদিন এক একটি ওয়ার্ডে এই কর্মসূচি পালন করব। এই কর্মসূচিকে সফল করার জন্য তিনি জনগণকে পুরসভার দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।