নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– আবারও একবার সংবাদ শিরোনামে আসানসোল দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের কুখ্যাত কয়লা মাফিয়া মৃত রাজু ঝা। তার দীর্ঘদিনের ছায়সঙ্গী গ্রেফতারের ঘটনায় ফের শিল্পাঞ্চলের খবরের শিরোনামে রাজু। সোমবার রাতে দুর্গাপুরের মেনগেট এলাকা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও দু’রাউন্ড -গুলি সহ রাজু ঝায়ের দীর্ঘদিনের ছায়াসঙ্গী উৎপল ওরফে গণেশ রায়কে গ্রেফতার করে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। পুলিশি হেফাজত চেয়ে মঙ্গলবার ধৃতকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়।
প্রসঙ্গত এই উৎপল রায় দীর্ঘদিন ধরে কুখ্যাত কয়লা মাফিয়া রাজু ঝায়ের কয়লা ব্যবসা সহ বিভিন্ন ব্যবসায় ছায়া সঙ্গী ছিলেন। এমনকি ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে রাজু ঝায়ের মতো তিনিও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের হাত ধরে পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন। উল্লেখ্য কয়লা সংক্রান্ত একাধিক মামলা রয়েছে এই উৎপল ওরফে গণেশ রায়ের বিরুদ্ধে।
প্রসঙ্গত গত ১ এপ্রিল শক্তিগড়ের ১৯ জাতীয় সড়কের উপর ল্যাংচা হাবের কাছে প্রকাশ্যে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন রাজু ঝা। ওই ঘটনায় তোলপাড় পড়ে যায় রাজ্য-রাজনীতি। ঘটনার তদন্তে সিট গঠনের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। ওই খুনের ঘটনায় কে বা কারা জডিত তা এখনো জানা না গেলেও ইতিমধ্যে খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিজিৎ মণ্ডল, ইন্দ্রজিৎ গিরি, লালবাবু কুমার, মুকেশ কুমার ও পবন কুমার ওরফে ভকতকে। তাদের বিরুদ্ধে খুন, খুনের চেষ্টা ও অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে। অন্যদিকে এই ঘটনায় নাম জড়ায় গরু পাচার মামলার অন্যতম অভিযুক্ত আব্দুল লতিফের। ঘটনার দিন দুর্গাপুর থেকে চারচাকা গাড়িতে করে কলকাতা যাচ্ছিলেন রাজু ঝা। গাড়িতে তার সঙ্গে আব্দুল লতিফ, ব্রতীন মুখোপাধ্যায় ও গাড়ি চালক শেখ নূর মহম্মদ ছিলেন। কলকাতা যাওয়ার পথে শক্তিগড়ের কাছে খুন হন রাজু। তারপর থেকেই ফেরার ছিলেন আব্দুল। রাজু ঝায়ের মৃত্যুর পর দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক নিয়েও নানা প্রশ্ন ওঠে।
রাজু ঝায়ের খুনের ঘটনায় ধোঁয়াশা কাটেনি, এরই মধ্যে তার দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ গ্রেফার হওয়ায় শিল্পাঞ্চল জুড়ে এখন নানা প্রশ্ন ঘোরা ফেরা করছে। রাজু ঝা খুনের ঘটনার প্রেক্ষিতেই কি তার দীর্ঘদিনের সঙ্গী গ্রেফতার? নাকি রয়েছে অন্য কোনও রহস্য!




